কেরলের শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ কম্পিউটার শেখাচ্ছেন কার্তায়নী আম্মাকে। ছবি:টুইটার
সাক্ষরতার পরীক্ষায় প্রথম হয়ে দেশবাসীর নজর কেড়েছিলেন আগেই। এবার কেরলের সেই নবতিপর টপার বৃদ্ধাই কম্পিউটার শিখছেন। শুধু তাই নয়, মাধ্যমিকেও বসতে চান কাত্যায়নী আম্মা। মাধ্যমিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর কম্পিউটারের প্রাথমিক পাঠ নিলেই ‘চাকরি পাক্কা’, বলছেন ৯৬ বছরেও রীতিমতো সুস্থ-সবল আম্মা।
সম্প্রতি কেরলের সাক্ষরতার পরীক্ষায় বসে সবাইকে চমকে দিয়ে ৯৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছিলেন এই কাত্যায়নী আম্মা। তার পর থেকেই এত বয়সেও শেখার ইচ্ছে ও মানসিকতার জন্য অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন তিনি। সংবর্ধনা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন কম্পিউটার শেখার। সেই সাধ পূরণে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। দেওয়ালির উপহার হিসাবে তাঁর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন করলের শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ।
সেই সময়ই তাঁর হাতেখড়ি হয়েছে কম্পিউটারে। শিক্ষামন্ত্রী নিজে বসে থেকে কাত্যায়নী আম্মাকে নাম লেখা শিখিয়েছেন। বৃদ্ধার মুখে তখন অপার বিষ্ময়, কৌতুহল আর হাসি।
96 year old Karthyayani Amma became the topper with 98% score in equivalency programme exam of Kerala Literacy Mission. She received the certificate of merit from CM Pinarayi Vijayan. CM congratulated her and others who appeared for the exam. pic.twitter.com/qkZAuHQZgy
— CMO Kerala (@CMOKerala) November 1, 2018
আরও পডু়ন: নকল পায়েই এভারেস্ট শীর্ষে, অরুণিমাকে কুর্নিশ ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাক্ষরতার পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরই তিনি আম্মা বলেছিলেন, ‘‘যখন পড়াশোনা শিখতে পারতাম, তখন করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতিদের পড়াশোনা করতে দেখে প্রবল ইচ্ছে জাগে। স্কুল ফাইনালে বসতে চাই। আর অবসর সময়ে রপ্ত করতে চাই কম্পিউটার। তাতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।’’
কিন্তু ৯৬ বছর বয়সে কীভাবে চাকরি পাবেন? সেসব না ভেবেই শারীরিক সক্ষমতা আর যোগ্যতার কথা ভেবেই বলেছিলেন। আম্মার ৬০ বছরের মেয়েও এবার সাক্ষরতার পরীক্ষায় বসে সফল হয়েছেন।
আরও পড়ুন: তিন বছরের শিশুর মুখে চকলেট বোমা ঢুকিয়ে আগুন! ছিন্নভিন্ন শরীরে ৫০ সেলাই
কেরলই দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য, যাকে ৯১ সালে পুরোপুরি সাক্ষর ঘোষণা করা হয়। ইউনেসকোর নিয়মে ৯০ শতাংশ সাক্ষর হলেই সেই রাজ্য বা দেশকে সম্পূর্ণ সাক্ষর ঘোষণা করা যায়। কিন্তু বাকি ১০ শতাংশকেও সাক্ষর করার লক্ষ্যে কেরল সাক্ষরতা মিশন শুরু হয়। সেই মিশনের অধীনেই এবছর মোট ৪২ হাজার ৯৩৩ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। প্রথম হন আম্মা।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy