Advertisement
E-Paper

কোচি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয় চারটি আইইডি, পুলিশের দাবি ইন্টারনেটে বোমা তৈরি শিখেছিল ধৃত

কোচি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কালামাসেরিতে খিস্ট্রান ধর্মাবলম্বী জিহোভাপন্থীদের সম্মেলনে রবিবারের বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৯
রবিবারের বিস্ফোরণের পরে কোচির সেই সম্মেলনস্থল।

রবিবারের বিস্ফোরণের পরে কোচির সেই সম্মেলনস্থল। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলম জেলার কালামাসেরিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত চারটি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ব্যবহার করা হয়েছিল। কেরল পুলিশের একটি সূত্রে এক কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, কম ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক এবং পেট্রোল ব্যবহার করে সেগুলি বানানো হয়েছিল।

কেরল পুলিশের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল থেকে ব্যাটারি, তার, সার্কিট এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। কেরল পুলিশের এক আধিকারিক সোমবার বলেন, ‘‘আইইডি এবং বিস্ফোরকগুলি একটি টিফিন বাক্সের ভিতরে ভরে নাশকতাস্থলে রাখা হয়েছিল। প্রতিটি বোমার জন্য প্লাস্টিকের পাউচে কমপক্ষে পাঁচ লিটার পেট্রোল ব্যবহার করা হয়েছিল। আইইডি প্যাক করার জন্য পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল।’’

প্রসঙ্গত, কোচি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কালামাসেরিতে তিন দিন ধরে একটি খিস্ট্রান ধর্মাবলম্বী জিহোভাপন্থীদের সম্মেলন চলছিল। রবিবার ছিল তার শেষ দিন। যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ২,০০০ জন। প্রার্থনার মাঝেই সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এক মিনিটে পর পর প্রায় তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কেরল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি। নাম ডোমিনিক মার্টিন। তিনিই এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি না, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য ২০ জন সদস্যের দল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মার্টিন নিজেও ওই ধর্মীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। কয়েকটি প্রকাশিত খবরে দাবি, পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন সম্মেলনস্থলটি ভষ্মীভূত করে ফেলাই উদ্দেশ্য ছিল। তাই আইইডি মোড়া পাটের ব্যাগ চেয়ারের নিচে রাখা হয়েছিল যাতে দ্রুত আগুন ধরে যায়। আইইডি তৈরির জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছিলেন মার্টিন। এক সময়ে তিনি পশ্চিম এশিয়ার কারখানায় ফোরম্যানের কাজ করতেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তাঁর ব্যবহারিক জ্ঞান ছিল। তদন্তের বিষয়ে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর বোমা সংক্রান্ত বিভাগের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কেরল পুলিশ।

Kochi Blast Kerala Kerala police NIA Kerala Blast
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy