প্রতীকী ছবি।
মারা গিয়েছেন মনে করে এক মহিলাকে মর্গে রেখে দিয়েছিলেন আত্মীয়েরা। দীর্ঘ এক ঘণ্টা মর্গে পড়েও ছিল দেহ। তার পরেই দেখা যায়, ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। বেঁচে আছেন তিনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে কেরলের ইদ্দুকি জেলায়।
আরও পড়ুন: ৩২ সপ্তাহে নাবালিকার গর্ভপাতে সায় কোর্টের
বছর চল্লিশের ওই মহিলার নাম রাথনাম। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি জন্ডিসে ভুগছিলেন। গত দু’মাস ধরে মাদুরাইয়ের এক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দেহের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল রাথনামের। শেষে জবাব দিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। মাদুরাই থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেরলে রাথনামের নিজের গ্রামে ফেরার পথেই আত্মীয়েরা দেখেন নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাঁদের ধারণা হয় রাথনাম মারা গিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি মর্গে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা সেখানেই পড়ে থাকে দেহ। আত্মীয়দের মধ্যেই এক জন প্রথম লক্ষ্য করেন ব্যাপারটা। তিনি জানান, হঠাৎই দেখা যায় রাথনাম শ্বাস নিতে শুরু করেছেন। সামান্য নড়াচড়াও করছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কাট্টাপ্পানা গ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, রাথনাম বেঁচে আছেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সারমেয় বাঁচাতে ট্রেন থামালেন চালক!
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার আগে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাথনামের আত্মীয়েরা সেটা করেননি। মরে গেছেন ভেবে, মর্গের চেনাপরিচিতের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে সেখানে দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল। চিকিত্সকের কাছে নিয়ে গেলেই জানা যেত, মহিলা মারা যাননি। তবে এ যাত্রা বেঁচে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত কত ক্ষণ বা কত দিন তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে চিকিত্সকদের।
এ বছরের গোড়ার দিকে একই ধরণের একটা ঘটনা ঘটেছিল কর্ণাটকে। কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে মনে করে এক কিশোরকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝপথে দেখা যায় সে বেঁচে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy