কার্তিয়ানি আম্মা কৃষ্ণাপিল্লা।
শেখার কোনও বয়স নেই। ফের প্রমাণিত হল কেরলে। ৯৬ বছরে পড়াশোনা শুরু করে কার্তিয়ানি আম্মা ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগালেন।
কেরলের আলাপুজার মুট্টম গ্রামের বাসিন্দা কার্তিয়ানি আম্মা কৃষ্ণাপিল্লা। স্থানীয় মন্দিরগুলিতে ধোয়া-মোছার কাজ করেন। ছোটবেলায় কখনও স্কুলে যাননি। সরকারি উদ্যোগে সম্প্রতি এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছেন তিনি।
নিরক্ষরতা দূরীকরণে এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘অক্ষরলক্ষ্যম’ প্রকল্প চালু করে কেরল সরকার, যাতে রাজ্যে সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশে পৌঁছয়। প্রথম দফায় ৪৭ হাজার ২৪১ জনকে নিয়ে ক্লাস শুরু হয়। পড়তে, লিখতে এবং সাধারণ গণিত শেখানো হয় সেখানে। পঠন পাঠন শেষ হলে, পরীক্ষার আয়োজন করা হয় চতুর্থ, সপ্তম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য।
আরও পড়ুন: ছ’মাস পরিচারিকা সেজে খুনের কিনারা! ‘দেশি শার্লক’ রজনীর ঝুলিতে ৮০ হাজার সমাধান
আরও পড়ুন: সাকিনের খোঁজে ‘বিবাগী’ বাঘ পাড়ি দিল ৩৫০ কিলোমিটার
চতুর্থ শ্রেণিতে পরীক্ষায় বসেন কার্তিয়ানি আম্মা। তাতে ১০০-র মধ্যে ৯৮ পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি। ১ নভেম্বর তাঁর হাতে মেরিট সার্টিফিকেট তুলে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
আম্মা জানান, ‘‘ভাল নম্বর পেয়েছি। তাতেই খুশি আমি। এখন লিখতে পড়তে পারছি। হিসাব করছি নিজে নিজে।’’ দুই নাতনি, ১২ বছরের অপর্ণা এবং ৯ বছরের অঞ্জনা তাঁকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন। কৃতিত্ব দিয়েছেন মেয়ে আম্মিনিয়াম্মাকেও। ২০১৬ সালে ৫১ বছরে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন আম্মিনিয়াম্মা। তাঁকে দেখেই নাকি অনুপ্রাণিত হন কার্তিয়ানি আম্মা।
এই মুহূর্তে নতুন ক্লাসে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। পরের বছর ইংরেজি শিখতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy