২৭ বছর পর ধরা পড়লেন কোয়েম্বত্তূরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রী টেলর রাজা ওরফে সাদিক! ১৯৯৮ সালের ওই বিস্ফোরণে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ২০০-রও বেশি মানুষ। বহু তল্লাশি চালিয়েও সে সময় ধরা যায়নি বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রী রাজাকে। অবশেষে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ় থেকে গ্রেফতার হলেন তিনি!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে একের পর এক বিস্ফোরণে বোমার জোগান দিয়েছিলেন রাজাই। উদ্দেশ্য ছিল, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে হত্যা করা। সে সময় আডবাণী কোয়েম্বত্তূরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। যে মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা করার কথা ছিল, তার অদূরেই বোমা হামলা চালানো হয়। এর পর একে একে শহরের অন্তত ১৪টি জায়গায় ধারাবাহিক ভাবে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় ৫৮ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৩১ জন। কোয়েম্বত্তূরের এই ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। প্রথমে কোয়েম্বত্তূর পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করলেও পরে মামলার গুরুত্ব বুঝে এটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এত দিন নিখোঁজই ছিলেন হামলার মূল চক্রী রাজা। শেষমেশ ২৭ বছর পর তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজা মৌলবাদী সংগঠন আল উম্মার সদস্য ছিলেন। ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-সহ ১৭ জন একই মামলায় যাবজ্জীবন জেল খাটছেন। কিন্তু এত দিন ধরে বাকি আরও অনেকের মতো গা-ঢাকা দিয়েছিলেন রাজা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি নতুন করে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ ছত্তীসগঢ় থেকে ধরা হয়েছে তাঁকে। রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোয়েম্বত্তূরে নিয়ে আসছে পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ। ইতিমধ্যে ছত্তিশগড়ে রওনাও হয়ে গিয়েছে পুলিশের একটি দল। রাজার ফেরা নিয়ে কোয়েম্বত্তূর পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ‘দাগি’ অপরাধীকে আনার সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সব থানায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।