বড়দিনের আগে তোলাবাজি বাড়ছে পাহাড়ি জেলায়। বাড়ছে ‘অপহরণ-বাণিজ্য’ও।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ডিমা হাসাও জেলায় সহজে টাকা রোজগার করতে মাঝেমধ্যেই কাউকে না কাউকে অপহরণ করছে দুষ্কৃতীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওই সব ঘটনায় জড়িত পড়শি নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়ের অপহরণকারীরা। তাদের মদত দিচ্ছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা।
নিরাপত্তাবাহিনীর আশঙ্কা, বড়দিনের আগে এ ধরনের অপরাধ আরও বাড়বে। তাতে আতঙ্ক বেড়েছে পাহাড়ে। গত কাল ফের অপহরণ-কাণ্ড ঘটে ডিমা হাসাওয়ে। পুলিশ জানায়, মাহুরের চংপিজাং গ্রাম থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণকারী সংস্থার দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইনরিম বাংলো থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত করিডরের নির্মাণকাজে যুক্ত সংস্থার সুপারভাইজার অমরজিৎ সিংহ ও মনজিৎ বর্মণ-সহ আরও এক কর্মীকে গত কাল দুপুর ১২টা নাগাদ তিন জন দুষ্কৃতী বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরে এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সংস্থা জানিয়েছে, অমরজিতের বাড়ি বিহারে। মনজিৎ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির বাসিন্দা।
২৪ ঘণ্টা পরও অপহৃতদের খোঁজ মেলেনি। আসাম রাইফেলস ও পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে কোনও ফোন আসেনি। পুলিশ জানায়, কোনও সংগঠন অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। করিডর নির্মাণকারী সংস্থার এক কর্মীকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়েছিল। তিনি জানান, তিন জন দুষ্কৃতী এসেছিল। এক জনের হাতে ছিল পিস্তল। বাকিদের হাতে ছিল দা, লাঠি। ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপার বিবেক রাজ সিংহ প্রশাসনিক কাজে হায়দরাবাদে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ সিংহ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, অপহৃতদের কার্বি-আংলং বা নাগাল্যান্ড সীমানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy