মথুরার শ্রীকৃষ্ণ মন্দির এবং শাহি ইদগাহ মসজিদ। ফাইল চিত্র।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মসজিদ মামলায় আগের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দিল মথুরা ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহি ইদগাহ সম্পর্কিত রাজস্ব বিভাগের একটি নথির প্রেক্ষিতে বিচারক নীরজ গৌন্ড এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
আগের নির্দেশে বলা হয়েছিল, রাজস্ব বিভাগের এক আমিনের (জমি পরিমাপকারী) উপস্থিতিতে শাহি ইদগাহের জমি পরিমাপ করতে হবে। কিন্তু বুধবার সেই নির্দেশ স্থগিত করেছেন বিচারক। আগামী ১১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সরকার পক্ষের কৌঁসুলি সঞ্জয় গৌর জানান, হিন্দু পক্ষের আবেদনকারী বাল কৃষ্ণ ও অন্যান্যদের সঙ্গে ইদগাহ ইন্তেজামিয়া কমিটির মামলায় এই রাজস্ব বিভাগের জমি পরিমাপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গত ২৯ মার্চ।
মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের গর্ভগৃহে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, সেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি।
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো মথুরা শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলির সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির দাবিতে কয়েক মাস আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেই মামলায় রায় ঘোষণার আগেই ইদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করার দাবিতে এর পর নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মে মাসে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ‘দেবদেবীর মূর্তি’ এবং ধর্মীয় চিহ্ন খুঁজতে বারণসীর নিম্ন আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক ও ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)-কে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি আছে দাবি করে সেগুলি পুজো করার অনুমতি চেয়ে ২০২১-এ আদালতে একটি পৃথক আবেদন করেন পাঁচ মহিলা। তারই জেরে বারাণসী আদালতের ওই নির্দেশের পরে জ্ঞানবাপীর ‘ওজুখানা’ এবং ‘তহ্খানা’য় ভিডিয়ো সমীক্ষা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy