বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে বুধবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জমির বদলে রেলের চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বুধবার সকালে পটনায় ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডির দফতরে প্রবেশ করেন তিনি। পটনার ব্যাঙ্ক রোডের ধারে ইডির অফিস থেকে যখন তিনি বেরোলেন, তখন দুপুর আড়াইটে। পাটলিপুত্রের আরজেডি সাংসদ তথা লালুর জেষ্ঠ্যকন্যা মিসা ভারতীর সঙ্গে বুধবার ইডির অফিসে পৌঁছোন আরজেডি প্রধান।
মঙ্গলবার লালুপত্নী রাবড়ী দেবী এবং তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকেও ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার ঘণ্টা ধরে দু’টি আলাদা ঘরে বসিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকেরা। এ বার লালুও প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্ন সামলালেন। বুধবার লালু ইডির দফতরে যাওয়ার সময়ে পটনার রাস্তায় আরজেডি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে তাঁরা লালুর জন্য স্লোগান তুলতে থাকেন। ইডির দফতরে প্রবেশের সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি আরজেডি প্রধান। গাড়ি থেকে নেমে হাত নেড়ে সোজা এগিয়ে যান ইডির দফতরের দিকে।
আরও পড়ুন:
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্তে লালু-পুত্র তথা বিহারের সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর নামও উঠে আসে। এই মামলায় এর আগেও বেশ কয়েকবার ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আরজেডি প্রধানকে।