রাজনৈতিক অংশীদারী নয়, উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে পারিবারিক কুটুম্বিতাকেই অগ্রাধিকার দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। জানিয়ে দিলেন, সেখানে যাদব ভোট অটুট রাখতেই তাঁর সমর্থন মুলায়মের সঙ্গেই থাকবে। অর্থাৎ বিহারে তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গী নীতীশ কুমারের সঙ্গে তিনি নেই।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে সামিল হওয়ার জন্য এখন থেকেই জমি তৈরি করতে নেমেছেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কার্যত গত বিহার নির্বাচনে মহাজোটের বিরোধিতায় নামা মুলায়মের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নীতীশ ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে একাধিক সভা করেছেন। আরও করবেন বলে জানিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, বিহারে নীতীশের প্রধান জোটসঙ্গী আরজেডি কী করবে। এ নিয়ে জল্পনাও চলছিল। আজ দলের এক বৈঠকের পর আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য আরএসএস তথা বিজেপিকে নাস্তানাবুদ করা। তার জন্য যা করার তাই করব।’’ লালুপ্রসাদের মতে, আরজেডি উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে মদত দেবে। সেই তালিকায় মুলায়ম সিংহ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনিতেই মুলায়ম সিংহ যাদবের নাতির সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন লালুপ্রসাদ। তার জেরে দুই পরিবারের মধ্যে কুটুম্বিতার সম্পর্ক। লালুর জামাই সমাজবাদী পার্টির সাংসদও। আরজেডি নেতৃত্ব স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে তাঁদের উৎসাহ নেই। নীতীশের সঙ্গে বিহারে জোট থাকলেও উত্তরপ্রদেশে যে তাঁরা এক সঙ্গে লড়বেন না পরোক্ষে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন লালু।
শুধু বিহারের শাসক জোটই নয়, বিরোধী বিজেপি জোটের বিহারি শরিকরাও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে আলাদা আলাদা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি এবং উপেন্দ্র কুশহওয়ার লোক সমতা পার্টি সেখানে নির্বাচন লড়বে বলে ঘোষণা করেছে। এ বার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন জিতনরাম মাঁঝিও। বিহারে দলের শোচনীয় হারের পরেও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন জিতনরাম। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আসলে বিজেপির উপর চাপ তৈরি করে উত্তরপ্রদেশে, বিশেষ করে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কিছু আসন পেতেই তৎপর জিতনরাম, রামবিলাসরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy