পরিকল্পনা ছিল হাতে-হাত মিলিয়ে লড়ার। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে তিনি লড়াইয়ে নামবেন কি না, সেই সংশয় তৈরি করে দিলেন খোদ লালুপ্রসাদই। চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নীতীশকে সামনে রেখে তাঁর দল ওই লড়াইয়ে নামবে কি না, তা আজ কিছুতেই খোলসা করলেন না লালু। বিজেপির বিরুদ্ধে জোটের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা ধোঁয়াশায় রেখে লালুপ্রসাদ জানান, সময় এলেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। লালুপ্রসাদের ওই মন্তব্য প্রশ্ন তুলে দিল জনতা দলগুলির বহুচর্চিত সংযুক্তিকরণ নিয়েও।
লোকসভা নির্বাচনের পরে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই নড়েচড়ে বসে সাবেক জনতা দল ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়া দলগুলি। নিজেদের রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মুলায়ম সিংহের সমাজবাদী পার্টি, নীতীশের জেডিইউ ও লালুপ্রসাদের আরজেডির মতো দলগুলি সংযুক্তিকরণের পথে হাঁটার কথা বলে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক বৈঠক হলেও বাস্তবে নেতৃত্বের প্রশ্নে যে দলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, লালুর কথাতেই তা স্পষ্ট।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার দেড় বছরের মাথায় বিহারের নির্বাচনে প্রথম মূল্যায়ন হতে চলেছে মোদী সরকারের কাজকর্মের। নীতীশ-লালুও জানেন, বিহারের মাটিতে রাজনৈতিক ভাবে মোদীকে ধরাশায়ী করতে হলে জেডিইউ ও আরজেডিকে এক হতে হবে। কিন্তু সেই জোটের নেতৃত্ব কার হতে থাকবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জটিলতা রয়েছে। পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লালুপ্রসাদ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই জোটের নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু নেতৃত্বের রশি কার হাতে যাবে, আজ এই প্রশ্ন প্রথমে এড়িয়ে যান লালুপ্রসাদ। জল্পনা বাড়িয়ে পরে তিনি বলেন, ‘‘সময় এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ নীতীশের দল থেকে বিতাড়িত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁজিকেও সংযুক্ত দলে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লালু। কিন্তু তিনি বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ দিনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা মাঁজির সঙ্গে নির্বাচনী জোটে আগ্রহী।