নৌসেনা প্রধান জানিয়েছেন, সমুদ্রে একটা পরিমাণ বিবাদ নিত্যদিনই হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
ভারত মহাসাগরে চিনা জাহাজের ‘ব্যাপক উপস্থিতি’ রয়েছে। সমুদ্রসীমায় নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য পরিস্থিতির উপরে ভারত ‘খুবই নিবিড় ভাবে’ নজর রেখেছে। শনিবার নয়াদিল্লিতে একটি সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। পাকিস্তানের বন্দরগুলিতে চিনা নৌবাহিনীর জাহাজ নোঙর করে থাকার বিষয়টিও ‘নজরে রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, বাহিনীর আধুনিকীকরণ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া, সেটা আশঙ্কা দিয়ে চালিত হওয়ার বিষয় নয়।
অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেছেন, ‘‘ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আমরা খুব নিবিড় ভাবে লক্ষ রাখছি... জানার চেষ্টা হচ্ছে, কাদের উপস্থিতি রয়েছে আর তাদের উদ্দেশ্য কী।’’ তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টা নজরদারির পাশাপাশি যুদ্ধবিমান, চালকহীন বিমান, জাহাজ, ডুবোজাহাজ প্রভৃতি রাখা হয়েছে। নৌসেনা প্রধান বলেন, ‘‘চিনা জাহাজের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। যে কোনও সময়েই তিন থেকে ছ’টি চিনা যুদ্ধজাহাজ তো ভারত মহাসাগর অঞ্চলে দেখাই যাচ্ছে।’’ তিনি জানান, সেগুলির কিছু ওমান উপসাগরের কাছে আর কিছু ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পূর্ব দিকে থাকছে। তা ছাড়াও চিনের গবেষণা-জাহাজ তো সর্বদাই রয়েছে। দু’চারটি মাছ ধরার জাহাজও সর্বক্ষণ নজরে আসছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত জলসীমার কাছাকাছি কী হচ্ছে-না-হচ্ছে, সে দিকে ‘অত্যন্ত নিবিড় ভাবে নজর রাখার’ মতো জাহাজ রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার।
নৌসেনা প্রধান জানিয়েছেন, সমুদ্রে একটা পরিমাণ বিবাদ নিত্যদিনই হচ্ছে। তা সংঘাতের পর্যায়ে পৌঁছনোর থেকে অনেকটাই দূরে। তবে লঘু করে দেখার কোনও অবকাশই নেই। পাকিস্তানে চিনা নৌবাহিনীর জাহাজ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই জাহাজগুলো বিভিন্ন দেশের বন্দরে নোঙর করছে, শুধু পাকিস্তান নয়।’’ তাঁর বক্তব্য, আগামী এক-দেড় দশকের লক্ষ্যমাত্রা ধরে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী দ্রুত নিজেদের আধুনিকীকরণ করছে। নৌবহরে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ যোগ করছে তারা। এ দিকে, চিন গত ১০ বছরে প্রচুর জাহাজ এবং ডুবোজাহাজ বাহিনীতে এনেছে, তৃতীয় যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ তৈরি চলছে এবং বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy