ফাইল ছবি
মাস তিনেক আগে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে একটি হামলা হয়েছিল। রাস্তা থেকে ধেয়ে এসেছিল রকেট চালিত গ্রেনেড। সেই ঘটনায় নজর-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দাবি করা হয়েছে, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর লোক।
গত ২৯ মে পঞ্জাবের মানসায় গাড়ি চড়ে যাওয়ার পথে খুন হন কংগ্রেসের গায়ক-নেতা সিধু মুসে ওয়ালা। পুলিশের দাবি, তিহাড় জেলে বসে কানাডা প্রবাসী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে মিলে ওই খুনের ছক কষেছিল বিষ্ণোই। তার আগে, গত ৯ মে মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে রাস্তা থেকে একটি রকেট চালিত গ্রেনেড বা আরপিজি ছোড়া হয়েছিল। পুলিশ দাবি করেছে, বিষ্ণোইয়ের সহকারী দীপক তার এক সঙ্গীকে নিয়ে ওই হামলা চালায়। ছেলেটির প্রাপ্তবয়স্ক হতে এখনও তিন মাস বাকি। একটি সিসিটিভি-র হামলার ঠিক আগের সময়ের ফুটেজে ওই এলাকায় গ্যাংস্টার দীপককে ফোনে কথা বলতে বলতে পার্কের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। পাশে কালো মুখোশে মুখ ঢেকে হাঁটছিল সেই ছেলেটি। ওই পার্ক থেকেই হামলার ব্যবস্থা করে রাখে তাদের অন্য শাগরেদ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং চণ্ডীগড়ের গোয়েন্দাদের তদন্তে এই তথ্য উঠে আসায় চিন্তা বেড়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই আর খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা এখন ভারতে, বিশেষ করে পঞ্জাবে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মতো গ্যাংস্টারদের ব্যবহার করছে কি-না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই হামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী রিন্দা আর কানাডাভিত্তিক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী লখবিন্দর সিংহ লান্ডার নাম উঠে এসেছে। লখবিন্দর আগে রিন্দার সঙ্গে কাজ করত।
হরিয়ানার ঝাজ্জরের বাসিন্দা দীপক যে বার একটি চুরির মামলায় প্রথম জেলে যায়, তাকে দলে টানে সেখানে বন্দি বিষ্ণোইয়ের শাগরেদরা। এখন তার বিরুদ্ধে আধ ডজনেরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বছর কয়েক আগে চণ্ডীগড়ের জমি-বাড়ির কারবারি সোনু শাহের খুনে উঠে এসেছিল বিষ্ণোইয়ের নাম। সে তখন রাজস্থানের ভরতপুর জেলে বন্দি। পুলিশের দাবি, সেই খুনে দীপকের সঙ্গী ছিল বিষ্ণোই গ্যাং-এর আর এক আততায়ী রাজু বাসৌদি। ওই ঘটনার পর থেকেই দীপক পলাতক। তাকে আদালতও ফেরার ঘোষণা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy