বাংলা-বিহারে সক্রিয় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হদিস পেল হাওড়া পুলিশ। মহিলাদের হাওড়া-কলকাতা থেকে কাজের টোপ দিয়ে নিয়ে এসে বিহারের মোতিহারি হয়ে নেপালে পাচার করা হত বলে জানা গিয়েছে। ওই চক্রে জড়িত অভিযোগে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার তুরকৌলিয়া থানার সেমরা বাজার এলাকা থেকে গত কাল এক জনকে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ।
ধৃতকে গত কালই মোতিহারি জেলা আদালত ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছ, ধৃতের নাম বিনোদ শ। সে একটি বাজনার দল চালায়। ওই দলে কাজের জন্য কলকাতা ও হাওড়া থেকে মেয়েদের আনা হত। পরে তাদের নেপালে পাচার করা হত। হাওড়া পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই দলে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কয়েক জন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলির সময়ে হাওড়া কমিশনারেটের মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুড়ির বাসিন্দা অমিতা মিশ্রকে (নাম পরিবর্তিত) ভাল কাজের টোপ দেয় পরিচিত এক মহিলা। পেশায় মেকানিক বাবা আর্থিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছিলেন অমিতা। সে কারণে কাজের সুযোগ পেয়ে তিনি রাজি হয়ে যান। এর পরে অমিতাকে নিয়ে হাওড়া থেকে ট্রেনে মোতিহারি পৌঁছায় ওই মহিলা। অমিতাকে তুলে বিনোদের হাতে তুলে দিয়ে মহিলা বেপাত্তা হয়ে যান। বিপদ বুঝতে পেরে অমিতা গোপনে বাবাকে খবর দেন। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ অফিসার অর্ঘ মুখোপাধ্যায় বাহিনী নিয়ে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে অভিযান চালান। বিহার পুলিশ স্থানীয় বাহিনী দিয়ে তাঁদের সাহায্য করে। সেমরা বাজার থেকে অমিতাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার হয় বিনোদ। বিহার পুলিশের আইজি (মুজফফরপুর) সুনীল কুমার বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশকে প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করা হয়েছে। মহিলা উদ্ধার হয়েছে। নারী পাচার চক্রের বিষয়ে আমারও খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy