রোহতক সংশোধনাগারে গুরমিত রাম রহিমকে আনা হয়েছে শুক্রবার। বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে ধর্ষণের দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পরে। কিন্তু ‘গডম্যান’ সম্ভবত ভাবতে পারেননি আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরে, তার পরে উত্তর ভারত জুড়ে পরিকল্পিত তাণ্ডব চালানোর পরেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত জেলেই যেতে হবে।
রোহতক সংশোধনাগারে আসার পর থেকেই খুব বিভ্রান্ত ছিলেন গুরমিত। ভাবখানা এমন, যেন কোনও দিন ভাবেনইনি এখানে আসতে হবে তাঁকে। প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন ভগবানের স্বঘোষিত প্রতিনিধি। শেষ দিনে সেই চাপ আর ধরে রাখতে পারেননি এই গডম্যান।
রুটি, ডাল আর এক আধটা ফল ছাড়া কিছুই খাননি এ ক’দিন। রোজই ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠেছেন। প্রাতঃকৃত্যের পর যোগব্যায়ামের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোমরে ব্যথার জন্য ক্ষান্ত হয়েছেন মিনিট দুয়েকেই! অনভ্যস্ত ভূমিশয্যায় ব্যথা আরও বেড়েছে বলে অনুমান। তবে প্রতিদিন রক্ষীদের কাছে খবরের কাগজ চেয়ে চোখ বুলিয়েছেন নিজের খবরে। বোঝার চেষ্টা করেছেন শাস্তির বহর কী হতে পারে।
প্রায় প্রতিদিন রাত দু’টো পর্যন্ত জেগে কাটিয়েছেন। রক্ষীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তাঁকে একটি এসি ঘর দেওয়া যায় কি না। এ-ও জানতে চেয়েছেন, সুনারিয়া সংশোধনাগারে কী কী সুযোগ সুবিধা তিনি পেতে পারেন। কেউই তাঁর কথায় তেমন কান দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy