ফাইল চিত্র।
গোয়া থেকে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ছাড়ার কথা ছিল। তার জায়গায় ছাড়ল সকাল সাড়ে ১০টায়। মুম্বই পৌঁছনোর কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে। ক’টায় পৌঁছল? না, দেরি তো হলই না, উপরন্তু সিডিউলড সময়ের এক মিনিট আগেই ঢুকে পড়ল তেজস। দুরন্ত গতিতে ছুটে মেক আপ করে দিল ৩ ঘণ্টার লেট! শনিবার এ ভাবেই মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে উপস্থিত যাত্রীদের চমকে দিল তেজস।
গোয়ার কারমালি স্টেশন থেকে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসের দূরত্ব ৭৫০ কিলোমিটার। রেল সূত্রে খবর, এই দূরত্ব যেতে তেজসের সময় লাগার কথা ১২ ঘণ্টার মতো। সাধারণত তেজস ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগ ছোটে। কিন্তু সময়সূচির পরিবর্তনের ফলে মুম্বই থেকে তেজসের খালি রেক গোয়ায় যেতেই বেশ কিছুটা লেট করে ফেলে। ফলে প্রথম যাত্রাতেই তেজসের গায়ে সেঁটে গেল লেটে ছাড়ার তকমা।
ফলে যাঁরা তেজসে গোয়া থেকে মুম্বই আসবেন ঠিক করেছিলেন সকালে স্টেশনে পৌঁছেই ট্রেন লেটের খবর পেয়ে যান। ৩ ঘণ্টা দেরি মানে তো পৌঁছতেও কম করে ৩ ঘণ্টা বেশি নেবে! তাই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু তেজসের উন্নত প্রযুক্তি এবং চালকের দক্ষতায় শেষমেশ সেই দেরির ভার আর বহন করতে হল না যাত্রীদের। গড় গতির থেকে সর্বাধিক ২৩ কিলোমিটার গতি বাড়িয়ে সময়ে পৌঁছে যায় তেজস।
আরও পড়ুন: এ বার কোপ তথ্যচিত্রে, ফের প্রশ্নে সহিষ্ণুতা
রেলের এক আধিকারিক জানান, গোয়ার কারমালি স্টেশন থেকে মহারাষ্ট্রের কুদাল স্টেশন পর্যন্ত ১৫৩ কিলোমিটার গতিবেগে যায়। কিন্তু তখনও নির্ধারিত সময়ের থেকে তা ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট দেরিতে চলছে। কুদাল থেকে রত্নগিরি পৌঁছয় ১৩৭ কিলোমিটার গতিবেগে। নির্ধারিত সময় থেকে তখন ১ ঘণ্টা পিছিয়ে রয়েছে তেজস। আর মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি থেকে পানভাল স্টেশন পৌঁছয় ১২৫ কিলোমিটার গতিতে। ৩ ঘণ্টার দেরি অনেকটাই মেক আপ করে তখন সিডিউলড সময় থেকে মাত্র ১৪ মিনিট পিছিয়ে তেজস। এর ফলে বাকি রাস্তাটা খুব সহজেই দেরিটা মেক আপ করে দেয় তেজস। ৩ ঘণ্টা দেরির ক্ষতিপূরণ করতে চালক তেজসের ইলেক্ট্রো-নিউম্যাটিক ব্রেকিং সিস্টেমকে কাজে লাগান। আর তাতেই ওই রাস্তাটা দুরন্ত গতিতে ছুটে তেজস ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারে ছত্রপতি শিবাজি টারমিনাসে।
২২ মে ১৩ কামার যুক্ত উন্নত প্রযুক্তির এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন রেলমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy