Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
terrorist

হাফিজ ছাড়া আর যে জঙ্গিরা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়

আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, সেই সব মোস্ট ওয়ায়েন্ট জঙ্গিদের।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৪
Share: Save:
০১ ১০
বিভিন্ন সময়ে ভারতে ঘটেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সেই সব নাশকতার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অভিযুক্তরা আশ্রয় বা প্রশ্রয় পেয়েছে দেশের বাইরে। তাদের একজন হাফিজ সইদকে ১৭ জুলাই গ্রেফতার করা হল পাকিস্থানে। কিন্তু হাফিজ তো একা নয়, আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, সেই সব মোস্ট ওয়ায়েন্ট জঙ্গিদের।

বিভিন্ন সময়ে ভারতে ঘটেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সেই সব নাশকতার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অভিযুক্তরা আশ্রয় বা প্রশ্রয় পেয়েছে দেশের বাইরে। তাদের একজন হাফিজ সইদকে ১৭ জুলাই গ্রেফতার করা হল পাকিস্থানে। কিন্তু হাফিজ তো একা নয়, আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, সেই সব মোস্ট ওয়ায়েন্ট জঙ্গিদের।

০২ ১০
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় প্রথমেই আসে দাউদ ইব্রাহিমের নাম। ১৯৯৩ সালের মু্ম্বই হামলার মূলচক্রী ছিল দাউদ। এ ছাড়া ভারতের ড্রাগ ব্যবসার অন্যতম চক্রী সে।ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে আছে দাউদ।পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই এই কার্যকলাপ চালাচ্ছেন ডি-কোম্পানির প্রধান।

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় প্রথমেই আসে দাউদ ইব্রাহিমের নাম। ১৯৯৩ সালের মু্ম্বই হামলার মূলচক্রী ছিল দাউদ। এ ছাড়া ভারতের ড্রাগ ব্যবসার অন্যতম চক্রী সে।ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে আছে দাউদ।পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই এই কার্যকলাপ চালাচ্ছেন ডি-কোম্পানির প্রধান।

০৩ ১০
মৌলানা মাসুদ আজহার। জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল। যদিও কন্দহরে বিমান হাইজ্যাকের ঘটনায় তাঁকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় তত্কালীন ভারত সরকার। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনেও মাসুদের হাত আছে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

মৌলানা মাসুদ আজহার। জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল। যদিও কন্দহরে বিমান হাইজ্যাকের ঘটনায় তাঁকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় তত্কালীন ভারত সরকার। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনেও মাসুদের হাত আছে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

০৪ ১০
সইদ সালাউদ্দিন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি থেকে ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে এই কুখ্যাত জঙ্গি। কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর দায়ে ২০১১ সাল থেকে তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছে এনআইএ।

সইদ সালাউদ্দিন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি থেকে ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে এই কুখ্যাত জঙ্গি। কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর দায়ে ২০১১ সাল থেকে তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছে এনআইএ।

০৫ ১০
হাফিজ মহম্মদ সইদ। লস্কর-ই-তৈবা থেকে নামবদলানো জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাঁর পরিকল্পনাতেই মুম্বইয়ে ২০০৮ সালে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াত এই কুখ্যাত জঙ্গি। ২০১৮ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেছিল সে। অবশেষে বিভিন্ন চাপে, বুধবার, ১৭ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানে।

হাফিজ মহম্মদ সইদ। লস্কর-ই-তৈবা থেকে নামবদলানো জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাঁর পরিকল্পনাতেই মুম্বইয়ে ২০০৮ সালে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াত এই কুখ্যাত জঙ্গি। ২০১৮ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেছিল সে। অবশেষে বিভিন্ন চাপে, বুধবার, ১৭ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানে।

০৬ ১০
জাকি-উর-রেহমান লাখভি। লস্কর-ই-তৈবার এই পাকিস্তানি জঙ্গি বর্তমানে কাশ্মীরে সুপ্রিম কমান্ডার হিসাবে কাজ করছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। মুম্বই হামলায় অংশগ্রহণ করার জন্য আজমল কাসভের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দেয় সে। ২০০৮ থেকে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে তার নাম।

জাকি-উর-রেহমান লাখভি। লস্কর-ই-তৈবার এই পাকিস্তানি জঙ্গি বর্তমানে কাশ্মীরে সুপ্রিম কমান্ডার হিসাবে কাজ করছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। মুম্বই হামলায় অংশগ্রহণ করার জন্য আজমল কাসভের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দেয় সে। ২০০৮ থেকে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে তার নাম।

০৭ ১০
মহম্মদ শাকিল বাবু মিঞা শেখ, ছোটা সাকিল নামেই অপরাধ জগতে পরিচিত। ডি-কোম্পানির এই কুখ্যাত অপরাধী ১৯৯৩-এর মুম্বই হামলায় দাউদের অন্যতম সঙ্গী। গোয়ান্দাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা এই অপরাধী ২০১৭-র ডিসেম্বরে মারা গিয়েছে বলে খবর রটে। কিন্তু সেই খবরের সত্যতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে গোয়েন্দাদের মধ্যে।

মহম্মদ শাকিল বাবু মিঞা শেখ, ছোটা সাকিল নামেই অপরাধ জগতে পরিচিত। ডি-কোম্পানির এই কুখ্যাত অপরাধী ১৯৯৩-এর মুম্বই হামলায় দাউদের অন্যতম সঙ্গী। গোয়ান্দাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা এই অপরাধী ২০১৭-র ডিসেম্বরে মারা গিয়েছে বলে খবর রটে। কিন্তু সেই খবরের সত্যতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে গোয়েন্দাদের মধ্যে।

০৮ ১০
আব্দুল সুভান কুরেশি। ভারতের বিন লাদেন বলেও কুখ্যাত সে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের এই জঙ্গি বোমা বানাতে সিদ্ধহস্ত। ২০০৬-এর ১১ জুলাই মুম্বইয়ের ট্রেন বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির হাত ধরেই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয় ভারতের বিন লাদেন।

আব্দুল সুভান কুরেশি। ভারতের বিন লাদেন বলেও কুখ্যাত সে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের এই জঙ্গি বোমা বানাতে সিদ্ধহস্ত। ২০০৬-এর ১১ জুলাই মুম্বইয়ের ট্রেন বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির হাত ধরেই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয় ভারতের বিন লাদেন।

০৯ ১০
মহম্মদ আহমেদ সিদ্দিবাপ্পা। অপরাধ জগতে তার নাম ইয়াসিন ভাটকল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘদিন এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় থাকার পর ২০১৩ সালে ভারত-নেপাল সীমান্তে ধরা পড়ে সে। ২০১৬ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। পাকিস্তানে বসে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়াই ছিল তার প্রধান কাজ।

মহম্মদ আহমেদ সিদ্দিবাপ্পা। অপরাধ জগতে তার নাম ইয়াসিন ভাটকল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘদিন এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় থাকার পর ২০১৩ সালে ভারত-নেপাল সীমান্তে ধরা পড়ে সে। ২০১৬ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। পাকিস্তানে বসে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়াই ছিল তার প্রধান কাজ।

১০ ১০
আব্দুল রউফ আসগর। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের চাঁই মৌলানা মাসুদ আজহারের ছোট ভাই সে। পাকিস্তানের মাটিতে বসে ভারত ও আফগানিস্তানে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত। কন্দহরে তার নেতৃত্বেই ভারতীয় বিমান হাইজ্যাক করা হয়। ওই বিমান হাইজ্যাক করে মাসুদ আজহারকে ভারত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সে।

আব্দুল রউফ আসগর। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের চাঁই মৌলানা মাসুদ আজহারের ছোট ভাই সে। পাকিস্তানের মাটিতে বসে ভারত ও আফগানিস্তানে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত। কন্দহরে তার নেতৃত্বেই ভারতীয় বিমান হাইজ্যাক করা হয়। ওই বিমান হাইজ্যাক করে মাসুদ আজহারকে ভারত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE