Advertisement
E-Paper

ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক বেআইনি! ট্রাম্প-সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে প্রস্তাব পেশ মার্কিন সংসদে, দেওয়া হল ক্ষতির হিসাবও

ভারতের পণ্যে সাধারণ ভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির অনড় মনোভাবের কারণে পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলা হয়েছে নতুন প্রস্তাবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:০৭
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ভারতের পণ্যের উপর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছেন, তা বেআইনি। অবিলম্বে ওই শুল্ক বাতিল করা উচিত। মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভস-এ শুক্রবার এমনই এক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চড়া শুল্কের কারণে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে আমেরিকার। সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

ভারতের শুল্ক বাতিল চেয়ে মার্কিন সংসদে প্রস্তাব পেশের নেপথ্যে রয়েছেন ওই কক্ষের তিন জন সদস্য— ডেবোরা রস, মার্ক ভিসে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তি। ভারত ছাড়াও ব্রাজ়িলের পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের হার এটাই। সংসদ সদস্যেরা ব্রাজ়িলের শুল্কও বাতিল চেয়েছেন।

ভারতের পণ্যে সাধারণ ভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির অনড় মনোভাবের কারণে পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন তিনি। ২৭ অগস্ট থেকে সেই ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতের রফতানিকৃত পণ্যে প্রযোজ্য হয়েছে। এর ফলে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে। ট্রাম্প এক বিশেষ জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিভিন্ন দেশের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন। মার্কিন সংসদ সদস্যেরা এই ক্ষমতাকেই সাধারণ নাগরিকদের পক্ষে ক্ষতিকর বলে দাবি করেছেন।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারতের উপর চড়া শুল্কের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তর ক্যারোলিনা প্রদেশ। সেখানকার অর্থনীতি অনেকাংশে ভারতের উপর নির্ভরশীল। বাণিজ্য তো আছেই, সেই সঙ্গে প্রচুর ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ রয়েছে উত্তর ক্যারোলিনায়। সর্বোপরি, ওই প্রদেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। শুল্কের কারণে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার খাচ্ছে বাণিজ্য। উত্তর ক্যারোলিনায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রচুর ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে, সংসদে দেখিয়েছেন রস, কৃষ্ণমূর্তিরা। তাঁদের কথায়, ‘‘ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সঙ্গী। বেআইনি এই শুল্ক আসলে সেই সমস্ত মার্কিন নাগরিকের উপর বাড়তি শুল্কের বোঝা, যাঁরা দৈনন্দিন খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’’

সংসদে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘‘ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক আসলে বাণিজ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করে। এতে মার্কিন কর্মচারীদের ক্ষতি হচ্ছে, ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে। শুল্কের ফলে হিতে বিপরীত হচ্ছে।’’ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলে তা ভারত-আমেরিকা অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে, মত কৃষ্ণমূর্তির।

মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট সদস্যেরা অনেক দিন ধরেই ট্রাম্পের শুল্কের বিরোধিতা করছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে আপত্তি জানাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটেরা। এর আগে অক্টোবরে কৃষ্ণমূর্তিরা ভারতের উপর চাপানো শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্পের কাছে সরাসরি আর্জি জানিয়েছিলেন।

Donald Trump US Tariff India US Tariff Row US house US Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy