Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Arogya Setu

‘ই-পাস’ হতে পারে আরোগ্য সেতু: মোদী

‘গুগল প্লে’ বা ‘অ্যাপল স্টোর’ থেকে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোডের পরে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে ‘রেজিস্টার’ করতে হয়।

নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২৯
Share: Save:

দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যেই কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে ইলেকট্রনিক পাস হিসেবে কাজ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের মোবাইল অ্যাপ ‘আরোগ্য সেতু’। গত কাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোখার উদ্দেশে চালু করা এই অ্যাপটিকে কী ভাবে জনপ্রিয় করা যায় এবং ব্যাপক সংখ্যায় সেটির ডাউনলোডের বিষয়টি কী ভাবে নিশ্চিত করা যায়, গত কালের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তোলের মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতি বলছে, ‘‘মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর কী ভাবে ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’ বা সংক্রমণের উ‌ৎস খোঁজার ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেই কথা জানান। এমন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নিজস্ব উদ্যোগে ভারত অ্যাপটি তৈরি করেছে, যা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে। তিনি এ-ও বলেন, ভবিষ্যতে অ্যাপটি ই-পাসের কাজ করতে পারে। তাতে যাতায়াতে সুবিধে হবে।’’

‘গুগল প্লে’ বা ‘অ্যাপল স্টোর’ থেকে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোডের পরে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে ‘রেজিস্টার’ করতে হয়। অ্যাপটিতে নিজের শারীরিক অবস্থা, সম্প্রতি বিদেশ সফর করেছেন কি না, কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না— ইত্যাদি তথ্য পূরণ করলেই জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা। অ্যাপটির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য ব্লু-টুথ ও জিপিএস লোকেশন ‘অন’ রাখতে হবে। ফলে অ্যাপ খুলেই জানা যাবে, আশেপাশে কত জন ‘আরোগ্য সেতু’ ব্যবহারকারী রয়েছেন। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য ও তাঁদের গতিবিধি কৃত্রিম মেধার মাধ্যমে নজরে রাখবে অ্যাপ। সংগৃহীত সেই তথ্যের মাধ্যমেই যে-কেউ জানতে পারবেন, কোন এলাকায় গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। কিংবা কোভিডের উপসর্গ রয়েছে, এমন কারও সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন কি না।

সরকারের আশ্বাস, প্রত্যেকের পরিচয় ও ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা হবে। কর্তারা জানিয়েছেন, দেশে এই অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান করোনার মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হবে। সেই কারণেই কার্যত বাধ্যতামূলক ভাবে প্রত্যেককে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাদের বাবা-মায়েরা অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন কি না। অ্যাপের ভূমিকা নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকও হয়েছে।

কী ভাবে ‘ই-পাস’ হিসেবে অ্যাপটি ব্যবহৃত হতে পারে, তা ভেঙে বলেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। অনেকের মতে, ভবিষ্যতে হয়তো এই অ্যাপের মাধ্যমেই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে জরুরি পরিস্থিতিতে যাতায়াতের ছাড়পত্র পাওয়া যেতে পারে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arogya Setu Electronic Pass Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE