কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান রবিবার জানিয়েছিলেন, বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটে সব আসনে লড়বে তাঁর দল এলজেপি (রামবিলাস)। যদিও সোমবার বিজেপি দাবি করল, প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র এনডিএর সহযোগী হিসেবেই বিহারের ভোটে লড়বেন।
প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র রবিবার বলেছিলেন, ‘‘বিহারের ২৪৩টি আসনেই এলজেপি লড়বে।’’ বিহারের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেন সোমবার বলেন, ‘‘চিরাগ এনডিএর বিশ্বস্ত সহযোগী। তিনি বলতে চেয়েছেন, এনডিএর সঙ্গে থেকেই তাঁরা বিহারের ২৪৩টি আসনে লড়বেন।’’ তিন বারের সাংসদ চিরাগ গত মাসে জানিয়েছিলেন, এ বার তিনি বিহারের বিধানসভা ভোটে লড়তে চান। তার পরেই তাঁর রাজ্য রাজনীতিতে ‘আগ্রহ’ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এ বার তাঁর ২৪৩ আসনে লড়ার ঘোষণার পরেই কংগ্রেস দাবি করেছে, বিহারে এনডিএ ভাঙতে চলেছে।
আরও পড়ুন:
লালুপ্রসাদ যাদব-নীতীশ কুমারের সমসাময়িক হলেও বরাবরই জাতীয় রাজনীতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন চিরাগের পিতা রামবিলাস। বাকি দু’জন যখন রাজ্য-রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের জন্য সক্রিয়, তখন রামবিলাস বার বার জোট বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বেই মনোনিবেশ করেছেন। কিন্তু ২০২০ সালে রামবিলাসের প্রয়াণের পরে বিহারের বিধানসভা ভোটে চিরাগের নেতৃত্বে অখণ্ড এলজেপি আলাদা ভাবে ভোটে লড়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেননি তিনি। নিশানা করেছিলেন নীতীশের জেডিইউকে। মোট ১৩৪ আসনে লড়ে মাত্র একটিতে জিতলেও সাড়ে পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তাঁর দল।
এর পরে ২০২১-এর মধ্যপর্বে এলজেপিতে ভাঙন ধরেছিল। সে সময় বিজেপি এবং জেডিইউ দাঁড়িয়েছিল চিরাগের কাকা পশুপতি পারসের পাশে। সে সময় পারস-সহ লোকসভায় দলের পাঁচ সাংসদ এক দিকে ছিলেন। অন্য দিকে, একা রামবিলাস-পুত্র চিরাগ। সে সময় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ‘এলজেপি সংসদীয় দলের’ স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পারসের গোষ্ঠী ‘রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি’কে। এনডিএ জোটে তাঁকে স্থান দিয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিরাগকে ব্রাত্য করে পারসকে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু দলিত পাসোয়ান জনগোষ্ঠীর ভোট চিরাগের দিকে ঝুঁকেছে আঁচ পেয়ে গত লোকসভা ভোটের আগে পারসকে ব্রাত্য করে চিরাগের সঙ্গে জোট করে বিজেপি-জেডিইউ। এলজেপির জন্য বরাদ্দ পাঁচটি আসনই চিরাগ গোষ্ঠীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সবক’টিতেই জেতে এলজেপি (রামবিলাস)।