বুথফেরত সমীক্ষা যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে এবং ২৩ তারিখ বিকেল পর্যন্ত নিজেদের একজোট রাখতে আজ রাজধানীতে একত্রিত হল ২২টি বিরোধী দল। কনস্টিটিউশন ক্লাবে দু’দফায় বৈঠক এবং দলবদ্ধ ভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযানে শামিল হল তারা। আজ এই যৌথ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অশোক গহলৌত, গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেল, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, তেলুগু দেশমের চন্দ্রবাবু নায়ডু, এসপি-র রামগোপাল যাদব, বিএসপি-র সতীশ মিশ্র, ডিএমকে-র কানিমোঝি, আপ-এর অরবিন্দ কেজরীবাল, এনসিপি-র প্রফুল্ল পটেল প্রমুখ। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, ফলাফল বেরোনোর পর যদি দেখা যায় লড়াই হাড্ডাহাড্ডি, তা হলে সরকার গড়ার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আজ কর্নাটক থেকে কুমারস্বামী তথা জেডিএস-এর পক্ষ থেকে কেউ আসেননি। কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই এই অনুপস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে। মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইকে যাতে এই সংঘাত দুর্বল না করে, তার জন্য তাঁকে বোঝাতে চন্দ্রবাবু নায়ডু বৈঠকের পরে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি কেসিআর এবং জগন্মোহন রেড্ডি যাতে কিছুতেই বিজেপি-র দিকে না যান, তার জন্য যে উদ্যোগী হতে হবে— এই প্রশ্নেও একমত হন নেতারা। এক বিরোধী নেতার এমনও বলেন, ‘‘কে এ বার প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা স্থির করবেন কেসিআর এবং জগন্মোহন।’’ কেসিআর-কে উপপ্রধানমন্ত্রী পদ দিয়ে সঙ্গে রাখা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন বিরোধী নেতারা। এর বাইরেও বিরোধী যোগাযোগ আজ পূর্ণমাত্রায় বজায় ছিল। অখিলেশ সিংহ যাদবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বুথফেরত সমীক্ষার প্রেক্ষিতে আজ বৈঠকে সবচেয়ে বেশি যে দু’টি রাজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হল পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ। এসপি এবং বিএসপি নেতাদের বক্তব্য, বিরোধী জোটের ফলাফল খুব খারাপ হলেও অন্তত ৪৫ থেকে ৫০টি আসন তাঁরা পাচ্ছেন। অন্য দিকে তৃণমূলের বক্তব্য, তিরিশের বেশি ছাড়া কম আসন তাঁদের ঝুলিতে আসছে না। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত দাবি করেন, বুথফেরত সমীক্ষায় রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অবাস্তব। ফলে সমীক্ষা নিয়ে না ভেবে সরকার গড়ার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার ডাকই দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, সমীক্ষার পর শেয়ারবাজার যে ভাবে তুঙ্গে উঠেছে, তাতে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মুনাফা কুড়িয়েছে বেসরকারি সংস্থা ও লগ্নিকারীরা। বিশেষ করে আদানি এবং অনিল অম্বানীর সংস্থা লাভবান হয়েছে বলেও এ দিনের বৈঠকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy