কংগ্রেসের কিছু নেতার বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এখন থেকেই লোকসভা ভোটের কৌশল স্থির করতে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি।
ক’দিন আগেই কংগ্রেসের রাজ বব্বর, বিলাস মুত্তেমওয়ারের মতো নেতারা নরেন্দ্র মোদীর মা ও বাবাকে টেনে এনেছিলেন। বিধানসভার ভোট প্রচারে খোদ মোদী সেটিকে অস্ত্র করেছেন। আজ সরাসরি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে বিষয়টিকে লোকসভা ভোটে হাতিয়ার করতে চাইলেন জেটলি। ফেসবুকে একটি ব্লগ লিখে জেটলি বলেন, ‘‘পদবিকে রাজনৈতিক ব্র্যান্ড হিসেবে দেখে কংগ্রেস। তবে তারা যদি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কম চেনা বাবা-মায়ের ছেলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চেনা বাবা-মায়ের ছেলের লড়াই চায়, তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে বিজেপি প্রস্তুত।’’ কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, কংগ্রেসের কিছু মাঝারি মাপের নেতার বেফাঁস মন্তব্যকেই যদি বিজেপি লোকসভা ভোটে অস্ত্র করতে চায়, তাহলে পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী কী কাজ করেছেন তা স্পষ্ট। যাবতীয় ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে এখন থেকেই তারা হারের পক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, নিজের রাজ্য গুজরাতের ভোটেও মণিশঙ্কর আইয়ারের একটি মন্তব্যকে লুফে প্রচার করতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। হারতে হারতে কোনও রকমে বেঁচেছিলেন।
রাজ বব্বর সম্প্রতি টাকার দামের সঙ্গে মোদীর মায়ের তুলনা করেছিলেন। বিলাস মুত্তেমওয়ার বলেন, ‘‘গাঁধী-নেহরু পরিবারের সকলের বাবা-মায়ের নাম জানা। মোদীর বাবার নাম জানা নেই।’’ যদিও বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে পরে দাবি করেছিলেন বিলাস।
জেটলির অভিযোগ, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী কিংবা সর্দার বল্লভভাই পটেলের বাবার নাম কী, তা জানতে দেয়নি কংগ্রেস। কারণ, শুধুমাত্র নেহরু-গাঁধী পরিবারের মাহাত্ম্য প্রচারেই তারা ব্যস্ত ছিল।