—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস মুখ ফেরানোয় তৃণমূলের হাত ধরতে চাইছেন এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল।
এআইইউডিএফ নেতারা বারবার কংগ্রেসের সঙ্গে ‘মিত্রতা’-র কথা বলে এবং হাতে থাকা তিন আসন বাদে অন্যত্র কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করার কথা জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। বিজেপির দাবি, গগৈ-আজমল গোপন আঁতাত সামনে চলে এল। অন্য দিকে কংগ্রেসের দাবি, হিমন্তের কলকাঠিতেই, কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে এই রাস্তা নিয়েছেন আজমল। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত জাতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রদেশ সভাপতি রিপুন বরা ও বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়াকে দিল্লিতে তলব করেন। জানিয়ে দেন, আজমলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, কোনও রকম আঁতাত করা যাবে না।
তার পরেই ধুবুরিতে কংগ্রেস আজমলের বিরুদ্ধে আবু তাহের বেপারি ও বরপেটায় বিধায়ক আব্দুল খালেকের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এঁদের কেউই দুর্বল প্রার্থী নন। সূত্রের খবর, আজমল এরপরেই দিল্লি যান। সেখানে এআইসিসি কোষাধ্যক্ষ আহমেদ পটেলের সঙ্গে তাঁর দু’দফা বৈঠক হয়। পটেল কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের আশঙ্কার কথা তাঁকে জানান। বলেন, কংগ্রেস আজমলের সঙ্গে গেলে হিন্দু ভোট কংগ্রেসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর পরেই হতাশ আজমল তৃণমূলের এক সাংসদের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মমতার সঙ্গে আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে তিনি দেখাও করতে পারেন বলে খবর।
তৃণমূল ইতিমধ্যেই অসমের ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল আজমলের গড় ধুবুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যাওয়ার কথা মমতার। আজমলের প্রস্তাব, তিনি অন্য কয়েকটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন দেবেন। বিনিময়ে মমতা ধুবুড়ি, বরপেটা ও আরও কয়েকটি আসনে তাঁদের প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। তৃণমূলের এক সূত্র জানিয়েছেন, দুই নেতার আলোচনার পরেই বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy