উত্তরপ্রদেশে ৭টি আসনে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস, ঘোষণা দলের। —ফাইল চিত্র
দুইয়ের বদলে সাত। বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখেছিল দু’টি আসন। তার পাল্টা সৌজন্য হিসেবে এ বার উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতীর জন্য সাতটি আসন ছেড়ে দিল কংগ্রেসও। দলের তরফে রবিবারই ঘোষণা করা হল, ওই সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। অর্থাৎ মোট ৯টি আসনে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস কিংবা এসপি-বিএসপি জোটের সরাসরি দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর এ দিন জানিয়েছেন, মইনপুরী-সহ রাজ্যের মোট সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। এই মইনপুরী কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সমাজবাদী পার্টি সু্প্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব। এ ছাড়া রয়েছে কনৌজ আসন, যেখানে প্রার্থী হচ্ছেন মুলায়মের পুত্রবধূ তথা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল। বাকি কেন্দ্রগুলি অবশ্য এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে খবর, এই আসনগুলি হতে পারে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী, রাষ্ট্রীয় লোক দল প্রধান অজিত সিংহ এবং তাঁর ছেলে জয়ন্ত চৌধুরির কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে এই তিন হেভিওয়েট নেতা কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা দেখে নিয়ে তার পর বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
মায়াবতী-অখিলেশ জোট ঘোষণার পর জানিয়েছিলেন, অমেঠি এবং রায়বরেলি বাদ দিয়ে সব আসনে লড়াই করবেন জোটের প্রার্থীরা। অমেঠি থেকে বরাবর জিতে আসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। আর রায়বরেলিতে জেতেন তাঁর মা সনিয়া গাঁধী। অর্থাৎ জোট এমন আসনগুলিই ছেড়েছে, যেগুলিতে কার্যত নিজের নিজের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এ বার কংগ্রেসও সেই রাস্তাতেই হাঁটল। অর্থাৎ জোটের হেভিওয়েট নেতাদের কেন্দ্রগুলিতেই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হাত শিবির। তবু কংগ্রেসের এই বার্তাকে সদর্থক ভাবেই দেখছে বিএসপি-এসপি জোট। জোটের নেতাদের মনোভাব, তাঁরা যে সৌজন্য দেখিয়েছেন, কংগ্রেসও সেটা দেখানোয় বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়তে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী, ভোটপ্রচারে কাল গঙ্গায় ১৪০ কিলোমিটার নৌসফর শুরু প্রিয়ঙ্কার
আরও পডু়ন: উপত্যকায় নয়া দল গড়লেন প্রাক্তন আইএএস শাহ ফয়জল, যোগ দিলেন জেএনইউ-এর শেলা
কয়েক মাস আগেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিপুল সাফল্য পায় কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ম্যাজিক ফিগারের থেকে সামান্য দূরে থাকা কংগ্রেসকে সমর্থন করে এসপি এবং বিএসপি দুই দলই। সেই সূত্রেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটেও একজোট হয়ে লড়তে পারে তিন দল। প্রাথমিক ভাবে এ নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোট হয়নি। মায়াবতী-অখিলেশের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন সাড়া না পেয়েই তাঁরা জোট করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy