—ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে আসন সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পর্দার পিছনে কথা চলছে কংগ্রেসের সঙ্গে এসপি-র। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আগেই ছাড়া অমেঠী এবং রায়বরেলী-সহ উত্তরপ্রদেশের মোট ৯টি আসন এসপি ছাড়তে রাজি হয়েছে কংগ্রেসকে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, অন্তত ১৫টি আসনে তাদের সম্ভাবনা বেশ ভাল। সুতরাং ১৫টি আসনের কমে বোঝাপড়া হবে না।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর রাজনৈতিক অভিষেকের পর উত্তরপ্রদেশে বিরোধী রাজনীতির পট অনেকটাই বদলেছে। নতুন অক্সিজেন পেয়ে কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়েছে ওই রাজ্যে। মুখে স্বীকার না করলেও কিছুটা পিছনের পায়ে এসপি-বিএসপি জোট। কৌশলগত ভাবে উত্তরপ্রদেশের ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে আলাদা করে কথা বলছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। অখিলেশের কাকা, পৃথক দল গড়া শিবপাল যাদবও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টিকে এসপি-র সঙ্গে দরকষাকষিতে তুরুপের তাস হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই শিবপালের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার বৈঠকটিকে এখনও স্থগিত রাখা হয়েছে। শিবপাল একা কোনও আসন জেতার ক্ষমতা রাখেন না ঠিকই, কিন্তু উজ্জীবিত কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়লে তিনি এসপি-র আসন কাটার ক্ষমতা রাখেন।
বিজেপিকে ঠেকাতে অখিলেশ যে রাহুলের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি তা অনেক দিন ধরেই স্পষ্ট। কিন্তু প্রশ্ন হল, অখিলেশ গোড়া থেকেই কংগ্রেসের প্রশ্নে কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখালেও অনড় মায়াবতী। ৮০টির মধ্যে ৩৮টিতে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া মায়াবতী নিজে একটি আসনও কংগ্রেসকে ছাড়বেন না। এসপি ছাড়লেও তিনি আপত্তি করতে পারেন। আজ বিএসপি-র বহিষ্কৃত প্রাক্তন সাংসদ কেসর জাহান এবং তাঁর স্বামী দু’বারের বিধায়ক জসমির আনসারি কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে এই সমঝোতার দড়ি টানাটানির কারণে আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিয়ঙ্কার উত্তরপ্রদেশ সফর। এসপি-র সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে সর্বশক্তি দিয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy