—ফাইল চিত্র।
দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে আজ বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি সমান তালে কংগ্রেসকেও বিঁধলেন মায়াবতী। বুঝিয়ে দিলেন, দিল্লির মসনদই এখন তাঁর পাখির চোখ। দিল্লিতে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএসপি। বাকি ২টিতে আপ প্রার্থীকে সমর্থন করছে তারা।
বিএসপি প্রার্থীদের সমর্থনে আজ রামলীলা ময়দানে জনসভা করেন বহেনজি। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষমতার চাবিকাঠি হাতে না থাকলে দলিত সমাজের কোনও সুবিধা হবে না।’’ একই সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপি– দু’তরফের প্রতি তোপ দেগে মায়া ফের এই বার্তাও দিতে চেয়েছেন যে, কংগ্রেস তথা রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে নিঃশর্ত সমর্থনের রাস্তায় তিনি হাঁটবেন না। উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোটের সাফল্যের প্রশ্নে আশাবাদী মায়াবতী। ভোটের পর ঝুলিতে যদি যথেষ্ট সংখ্যক আসন থাকে তবে অখিলেশ সিংহ যাদবকে পাশে নিয়ে তিনি ঝাঁপাবেন প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য। এর আগে উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার চলাকালীন বারবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন মায়াবতী। আপাত ভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে অখিলেশের সমর্থনও রয়েছে তাঁর সঙ্গে।
আজ দলিত নেত্রীর কথায়, ‘‘স্বাধীন ভারতের বেশির ভাগ সময়ই কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকেছে। কিন্তু নিজেদের ভুল নীতির জন্য তারা আর সরকারে নেই। তাদের শাসনকালে দারিদ্র দূর হয়নি, যথেষ্ট কর্মসংস্থান হয়নি। কংগ্রেসের ভ্রান্ত নীতির জন্যই বাবাসাহেব অম্বেডকর আইনমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন।’’ পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে মায়াবতীর বক্তব্য, ‘‘মোদীর জুমলা (ভাঁওতা) আর কাজে আসবে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চৌকিদারের নাটকও তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। উনি তো আসলে পুঁজিপতিদের চৌকিদার। অতীতে কংগ্রেসের মতো এই সরকারও সমাজের সব শ্রেণির উন্নয়নে ব্যর্থ। সংখ্যালঘুদের জন্যও কিছু করেনি বিজেপি সরকার।’’
রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে মায়াবতীর পৃথক ভাবে সরব হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্ব এসপি-বিএসপি জোটের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যাতে বিরোধী ভোট ভাগ হয়। বিশেষ করে এর আগে বিজেপি-বিরোধী মুসলমান ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। এ বার যাতে এসপি ঘেঁষা মুসলমান ভোট মসৃণ ভাবে বিএসপির ঝুলিতে আসে সে জন্য সচেতন থাকতে চাইছেন মায়াবতী।
আজ বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে রোজগার করতে দিল্লিতে আসা মানুষদের প্রতি মায়াবতীর আহ্বান, ‘‘সময় গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আসল চেহারা সবার সামনে স্পষ্ট। পরিবর্তন আসছে। দিল্লিও এই পরিবর্তনে শামিল হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy