নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে দলের প্রবীণ নেতাদের ক্ষোভ আজ প্রকাশ্যে বেরিয়েই পড়ল।
মোদী বা অমিত শাহের মতো কোনও শীর্ষ নেতা নন, বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণীর কাছে ভোটে না লড়ার বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা রামলাল। আডবাণীকে বলা হয়েছিল, যাতে তিনি নিজেই ভোটে না লড়ার কথা প্রকাশ্যে জানান। দলের তরফে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ আডবাণী সে কথা শোনেননি। রামলাল একই বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন আর এক প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর জোশীর কাছেও। তাঁকেও বলা হয়, ভোটে না লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করুন প্রকাশ্যে। বেজায় ক্ষুব্ধ জোশী কাজটা করলেন, তবে অন্য ভাবে। তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র কানপুরের ভোটারদের উদ্দেশে তিন লাইনের বার্তা পাঠালেন। তাতে লিখলেন, রামলাল এসে তাঁকে জানিয়েছেন, কানপুর কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে তাঁর ভোটে লড়া উচিত নয়।
মোদী-অমিত শাহের কাজকর্মের বিরুদ্ধে এর আগে আডবাণী-জোশী-শান্তা কুমাররা খোলা চিঠি লিখে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছিলেন। এ বারেও সে রকম তোড়জোর শুরু করেছেন তাঁরা। আঁচ পেয়ে বিজেপি নেতৃত্ব তা ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ক্ষুব্ধ প্রবীণদের ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে বলা হচ্ছে, মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এঁদের অসম্মান করা শুরু করেছেন। অথচ জনসঙ্ঘের আমল থেকে এঁরাই নিজেদের চেষ্টা এবং পরিশ্রমে আজকের বিজেপিকে তিলতিল করে তৈরি করেছেন। সেই জোরেই আজ মোদী প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ দলের সভাপতি।