দেশের সব কাজই সরকার করবে কেন, সেই প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, এ ব্যাপারে দেশের মানুষের মনে যে আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে এবং কাজ না হলে তারা যে ভাবে সরকারের জবাব চাইছে, তা দেশের ঐতিহ্যের বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন করেননি বলে বিরোধীরা যখন অভিযোগ তুলছে, এমনকি বিজেপির ভিতরে নিতিন গডকড়ীর মতো নেতারা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে শুরু করেছেন, তখন মোদীর আজকের এই মন্তব্য তাৎপর্যের।
গাঁধীনগর জেলার আদালাজ শহরে একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে মোদী দেশের বিভিন্ন কাজে সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘‘মানুষ এখন চাইছে, সব কাজই সরকার করে দিক। যে সব কাজ হয়নি, তা নিয়ে সরকারের জবাবও চাইছে তারা। তবে এটা আমাদের দেশের ঐতিহ্য নয়। কারণ, অতীতে ধর্মশালা, গোশালা, পুকুর কাটা থেকে শুরু করে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মতো কাজ সমাজই করে এসেছে।’’ এর পরেই মোদীর মন্তব্য, ‘‘এই সব কাজে সমাজের ভূমিকাকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। জেনেশুনে কিংবা না বুঝেই এটা করা হয়েছে। আর সব ধরণের সামাজিক কাজ করতে ভূমিকা নিয়েছে সরকার।’’
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, সরকার যাতে শুধু প্রশাসনিক কাজ করতে পারে। আর সমাজকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে তারা বিরাট অংশের মানুষের স্বার্থে সামাজিক কাজগুলি করতে পারে।’’ এই প্রশ্নে সর্দার বল্লভভাই পটেলের নেতৃত্বাধীন গুজরাতের লিউভা পটেল সম্প্রদায়ের ভূমিকাকে তুলে ধরেন মোদী। এক সময় গুজরাতের গ্রামে গ্রামে আমূল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল এরাই।
গত কাল থেকেই গুজরাত সফর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক ও সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেই এ দিন বিকেলে তিনি আমদাবাদ শহরের পাশে রাইসান গ্রামে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের সঙ্গে মোদী প্রায় আধ ঘণ্টা সময় কাটান।