—ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী নীতি দেব গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের করেছেন— সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ‘খবরে’ সকাল থেকে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, জনৈক অনুপম পাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত খবর আপলোড করেন। মামলা দায়েরের খবর অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী-জায়া। তবে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি। এই ঘটনায় আগরতলার পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় একটি এফআইআর করেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বনমালীপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দীপক কর। ভারপ্রাপ্ত ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি নীতিদেবী আগরতলা থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন। আজ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর দিদির শরীর খারাপ। তিনি একা থাকেন। তাঁর নিজেরও বিভিন্ন সমস্যার জন্য দিল্লিতে চিকিৎসা হচ্ছে। গত রাতে তিনি জানতে পারেন, কে বা কারা ফেসবুকে লিখেছে, তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই অভিযোগে তাঁরা হতচকিত হয়ে যান। তাঁর ছেলেমেয়েরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। ক্ষুব্ধ নীতিদেবী ফেসবুকে অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যেই একটি মহল থেকে ওই ‘নোংরা’ গুজব ছড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কারও বৌদি, কারও পুত্রবধূ, কারও মা, কারও বোন এবং কারও স্ত্রী।’’
বিপ্লববাবু ভোটের প্রচারে আজ কলকাতায় ছিলেন। পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুরে এক সভার পরে সাংবাদিকরা এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চান। বিপ্লববাবু কোনও জবাব না দিয়েই গাড়িতে উঠে যান। পরে বিবৃতিতে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন। আগরতলায় বিজেপি মুখপাত্র অশোক সিন্হা ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘এই অপপ্রচারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি ভাবে মানহানির মামলা দায়ের করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy