Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabah Election 2019

রাহুলের উপস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ

এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কীর্তি আজাদের।

কীর্তি আজাদকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

কীর্তি আজাদকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৯
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ। সোমবার সকালে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়াওই নেতা। এ দিন দলে তাঁকে স্বাগত জানান রাহুল গাঁধী। পরে নিজেই টুইটারে সে কথা ঘোষণা করেন কীর্তি।

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর রাহুল গাঁধীর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে টুইটারে কীর্তি আজাদ লেখেন, ‘‘আজ সকালে রাহুল গাঁধীর উপস্থিতিতে আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। মিথিলার ঐতিহ্য মেনে গলায় মালা পরিয়ে, চাদর দিয়ে ওঁকে সম্মান জানাই আমি।’’

এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কীর্তি আজাদের। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে মৃত্যু হয় ৪৪ জন জওয়ানের। নিহত জওয়ানদের সম্মানে তিনদিন শোকপালনের সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। তার জেরে পিছিয়ে যায় কীর্তি আজাদের সদস্যপদ গ্রহণও।

কীর্তি আজাদের টুইট।

আরও পড়ুন: সেনার গুলিতে হত পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড? সংঘর্ষে হত সেনা মেজর, তিন জওয়ান​

আরও পড়ুন: সার্জিকাল স্ট্রাইক নয়, আকাশ থেকে সোজা মাসুদের ডেরাতেই আঘাত হানতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা​

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত ঝা আজাদের ছেলে কীর্তি আজাদ। তবে শুরুতে রাজনীতিতে আগ্রহ ছিল না তাঁর। বরং পেশা হিসাবে বেছে নেন ক্রিকেটকে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অংশও ছিলেন তিনি। পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তবে বাবার মতো কংগ্রেসের হয়ে নয়, বরং বিজেপির হয়ে প্রথমে দিল্লির গোল মার্কেটের বিধায়ক নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে বিজেপির হয়েই বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন তিনি।

কিন্তু শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয় তাঁর। ২০১৫ সালে অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়ার আগে, দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ছিলেন অরুণ জেটলি। সেইসময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন কীর্তি। যার পর দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। সেই থেকেই তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল।

(ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদের দেশ বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE