উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তো আচমকা বলে বসলেন হনুমানজি দলিত ছিলেন। তা নিয়ে কথা চালাচালি আর বিতণ্ডার ঝড় উঠেছিল সারা দেশে। কিন্তু অন্য সমস্যা দেখা গিয়েছিলমুজফ্ফরনগর শহরের এক হনুমান মন্দিরে।শহরের এক দলিত যুবক, জনা বিশেক ছেলে-ছোকরা সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন শামলি অড্ডা মোড়ের এই মন্দিরে। বললেন, দলিতের মন্দির, দলিতরাই পুজো করবেন। তার পরে পুরোহিতকে সরিয়ে নিজেই বসে গেলেন বিগ্রহের সামনে।
সামাজিক সমীকরণে জাঠ, দলিত এবং সংখ্যালঘু যেন তিনটে আলাদা আলাদা মেরু এই অঞ্চলে। তথাকথিত উচ্চবর্ণ আর দলিতদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের এই চোরাস্রোতের মধ্যেই মুজফ্ফরনগরে লড়াই হচ্ছে দুই জাঠ নেতার মধ্যে। এক দিকে হেভিওয়েট আরএলডি প্রার্থী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধরি চরণ সিংহের ছেলে অজিত সিংহ। অন্য দিকে আরেক জাঠ নেতা মুজফ্ফরনগরের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী সঞ্জীব বালিয়ান।
মায়াবতী বা অখিলেশের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভরসা রেখে দলিত এবং মুসলিমের ভোট এক জায়গায় এসেছে কখনও কখনও। কিন্তু বড়সড় সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী যে মুজফ্ফরনগর, সেখানে এই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে জাঠদের সামিল করা কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই অজিত সিংহকে করতে হচ্ছে এ বার। কারণ এসপি-বিএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর দল আরএলডি এখন এই মহাগঠবন্ধনের অংশ।
কাজটা কতটা কঠিন, জাতপাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল শামলি অড্ডা মোড়ের এই হনুমান মন্দিরের ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy