ভারতের পাসপোর্টধারী ৩ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করল করিমগঞ্জ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কামালউদ্দিন ওরফে নিজামউদ্দিন, আফতাবউদ্দিন ও মামুন রশিদের বিষয়ে ভারতের সব বন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর জানান, পাসপোর্ট-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪ বাংলাদেশি-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক করিমগঞ্জের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। বাংলাদেশের কয়েক জন বাসিন্দাকে ভারতীয় পরিচয় দিতে সাহায্য করেছেন কয়েক জন আইনজীবীও। বাংলাদেশের সিলেট থেকে অবৈধ ভাবে করিমগঞ্জে আসা সুমন আহমেদ, দিলোয়ার হুসেন, সাব্বির আহমেদ, শহিদ আহমেদের পরিবার স্বচ্ছল। বাংলাদেশে তাদের কারও কাপড়ের দোকান, এক জনের ৪টি গাড়ি রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের নজরের আড়ালে করিমগঞ্জে পাসপোর্টের ‘ব্যবসা’ দীর্ঘ বছর ধরে চলছিল। ২০১৩ সালে রাতাবাড়ির তেরাব আলি নামের এক বাসিন্দা পাসপোর্ট পায়। সৌদি আরব থেকে এ দেশে আসার পথে মুম্বই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানতে পারে, তেরাব আলির বাড়ি বাংলাদেশে। এ নিয়ে রাতাবাড়ি থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। প্রদীপবাবু জানান, তিনি পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। জানতে পারেন, রাতাবাড়ি এলাকার বাহারউদ্দিন এবং নজরুল ইসলাম, তেরাব আলির ‘পাসপোর্ট ভ্যারিফিকেশনে’ সাক্ষী হিসেবে ছিল। তাদের গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy