Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

২৭ কংগ্রেস সাংসদ ৫ দিন সাসপেন্ড, উত্তাল লোকসভা

২৫ জন কংগ্রেস সাংসদকে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এত জন সাংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করার নজির সংসদের ইতিহাসে খুব কমই আছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন এ রাজ্যের দুই সাংসদ। প্রথম জন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জন আবু হাসেম খান চৌধুরী।

উত্তাল সংসদ। ছবি: পিটিআই।

উত্তাল সংসদ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ১৬:৪৩
Share: Save:

২৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এত জন সাংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করার নজির সংসদের ইতিহাসে খুব কমই আছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন এ রাজ্যের দুই সাংসদ। প্রথম জন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জন আবু হাসেম খান চৌধুরী। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বলেন, “গণতন্ত্রকে বাঁচানোর স্বার্থেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়েছে দল।” তৃণমূল ঘোষণা করেছে আগামী পাঁচ দিন তারা লোকসভা বয়কট করবে।

এই ঘটনায় দুই চির বিবদমান দল সিপিএম-তৃণমূলকে পাশে পেয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী বলেন, “এটা গণতন্ত্রের কালো দিন।” কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘‘প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ নতুন ঘটনা নয়, নৈতিকতা নিয়ে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি। সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা নেই, বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’ অন্য দিকে, সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা বিরোধী শবন্য সংসদ চালানোর কৌশল বিজেপি-র।’’

ফলে ব্যপম-ললিত কাণ্ড নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল এ দিনের পর তা আরও জটিল হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ১৯৮৯-এ ঠক্কর কমিশনের রিপোর্ট পেশ নিয়ে ৫৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। পরের দিন আরও ৫জনকে সাসপেন্ড করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE