ভারতের বিবাহ নামক ব্যবস্থাকে পুরুষতান্ত্রিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে! একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাই কোর্টের। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এল ভিক্টোরিয়া গৌরী বলেন, “বিবাহিত মহিলারা ধারাবাহিক ভাবে মানসিক হেনস্থা নীরবে সহ্য করে যান। অথচ এই বিষয়টিকে মহিমান্বিত করা হয়। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুরুষেরা পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা থেকে নিয়ন্ত্রণ ফলিয়ে যান।” পুরুষদের এই প্রাচীন ধ্যানধারণা পরিত্যাগ করা উচিত বলেও জানান তিনি।
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে হাই কোর্টে মামলাটি করেছিলেন অশীতিপর এক মহিলা। স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহহিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। নিম্ন আদালত অবশ্য স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয়। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা। হাই কোর্ট জানায়, তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল স্বামীকে। বৃদ্ধাকে খোরপোষ বাবদ মাসে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৪৯৮-এ কেবল মহিলাদের গৃহহিংসা থেকে সুরক্ষাই দেয় না, সমাজকেও সচেতন করে তোলে। একই সঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, বিবাহ কোনও পুরুষকে স্ত্রীর উপর প্রশ্নাতীত আধিপত্য ফলানোর অধিকার দেয় না।