সুস্মিতা দেব।
কংগ্রেসের সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে সোমবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। তার এক দিন পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গাঁধীর যুগলবন্দিতে ‘ম্যাজিক’ হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দল ছাড়ার জন্য কংগ্রেসের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। তিনি জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে তৃণমূলনেত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর ছিল। ২০০৬ সালে মমতার ২৬ দিন ধরে টানা অনশন তাঁর মনকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর কথায়, “২০০৬ সালে আমি ওকালতি করতাম। তখন মমতাদির একটানা ২৬ দিন অনশন আমার মনকে নাড়া দিয়েছিল।” বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলেও মমতার সাহসের প্রশংসা করেন তিনি।
রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক সুস্মিতার। তিনিই সোমবার অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গাঁধী ভবিষ্যতে কাছাকাছি এলে ম্যাজিক হতে পারে।” কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর পরিবারের চার প্রজন্মের সম্পর্ক। তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তে সেই সম্পর্ক ছিন্ন হবে না বলেই মনে করেন সুস্মিতা। বলেন, “সনিয়া গাঁধীর আশীর্বাদ আমার সঙ্গে থাকবে বলেই আশা রাখি।’ ’
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ১৫ অগস্ট ইস্তফা দিয়েছিলেন সুস্মিতা। একটা সময় মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রীও ছিলেন তিনি। সোমবারই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। অভিষেকের হাত ধরে তাঁর যোগদানের ছবিও পোস্ট করা হয় নেটমাধ্যমে। তার পরই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অভিষেকও।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে সুস্মিতার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, সুস্মিতাকে দলে পেয়ে অসমেও শক্তি বাড়ানোর দিকে এক ধাপ এগোল তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy