মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র
এ বার করোনায় আক্রান্ত হলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। কিন্তু এই প্রথম রাজ্য প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ পদাধিকারীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল। অজিতকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে ৬১ বছরের অজিত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং অধুনা এনসিপি-র শীর্ষনেতা শরদ পওয়ারের ভাইপো। তিনি শরদের ভাই অনন্তরাও পওয়ারের পুত্র। এখন দেখার, অজিতের সংস্পর্শে গত কয়েকদিনে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরাও কোনও ভাবে সংক্রমিত হন কি না।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। ২ মাসে আগেও সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ১৩ থেকে ১৫ হাজার। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারে পৌঁছেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষে ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। এখন তা নেমে এসেছে দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজারে। ঘটনাচক্রে, অজিতের শাসনাধীন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ। তবে তাঁর মতো প্রথমসারির কোনও মন্ত্রীর দেহে এর আগে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও কিন্তু দেশের রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমেছিল। কিন্তু তার পর থেকে আবার সেখানেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। রবিবারই টুইট করে নিজের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তবে তাঁর দেহে করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অরবিন্দ কেজরিবাল জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে উৎসবের পরেও রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেোওয়ার কথা ভাবছে না তাঁর সরকার। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে মাঠে-ময়দানে নেমে আসন্ন উপ নির্বাচনের প্রচারে সভা বা মিছিল আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারা ওই বিষয়টি বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে একটি আবেদনের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলি মাঠে-ময়দানে নির্বাচনী সভা এবং মিছিল করতে পারবে। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক মন্ত্রী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার এক নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে ভার্চুয়াল প্রচার করতে হবে। রাজ্যের কোনও জেলাশাসক যেন কোনও দলকেই ময়দানে নেমে প্রচার করার কর্মসূচি নেওয়ার অনুমতি না দেন।
আরও পড়ুন: কয়লা ব্লক বন্টনে দুর্নীতি, ৩ বছর জেল হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপের
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ৪৮০ জনের, ৩ মাসের মধ্যে দেশে সবচেয়ে কম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy