মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কেবল বিরোধীরা নয়, বিপাকে শাসক জোটও। কংগ্রেস ও এনসিপি-র জোটে চিড় ধরার সম্ভাবনা নিয়ে আপাতত সরগরম মুম্বই ও দিল্লির রাজনৈতিক শিবির। আজ আসন সমঝোতা নিয়ে বক্তব্য জানাতে পরস্পরকে আর দু’এক দিন সময় দিয়েছে কংগ্রেস ও শরদ পওয়ারের এনসিপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলের কথায়, “আর এক দিনের মধ্যে কংগ্রেসের জবাব না পেলে আমরা অন্য পথের কথা ভাবতে বাধ্য হব। সে ক্ষেত্রে সব রাস্তাই খোলা থাকছে।” আবার মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানিকরাও ঠাকরে বলেছেন, “এনসিপি দু’এক দিনের মধ্যে নিজেদের অবস্থান না জানালে আমাদের ২৮৮টি আসনেই প্রার্থী দিতে হবে।’’ ১৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। তাই ফয়সালা করতে খুব বেশি দেরি করার ঝুঁকি নিতে চায় না কোনও দলই। আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে মহারাষ্ট্রের ৫০টি আসনের জন্য প্রার্থী স্থির করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ জানান, এনসিপি-র সঙ্গে জোটের কথা মাথায় রেখেই এই ৫০টি আসনে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। আসন সমঝোতা হলেও ওই ৫০টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীই লড়বেন। আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপড়েন চলছে শিবসেনা ও বিজেপি-র মধ্যেও। আজ দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনাতেও সমস্যা মেটেনি। জোট ভাঙলে তারা শরদ পওয়ারের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বলে সম্প্রতি শিবসেনাকে বার্তা দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিরোধী জোটের ভবিষ্যতের উপরেও শাসক জোটের ভবিষ্যৎ কিছুটা নির্ভর করছে। লোকসভা ভোটের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন পওয়ার। তাই শিবসেনা-বিজেপি জোট ভাঙলে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাতে অসুবিধে হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy