নাগপুরে বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দাবি করেছেন, লিঞ্চিং (গণপ্রহারে হত্যা) পশ্চিমি ব্যাপার। ভারতের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলিকে ‘লিঞ্চিং’ বললে ভারতের এবং হিন্দু সমাজের অবমাননা করা হয়।
বিরোধী দল থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজের বৃহদংশই কিন্তু মনে করছেন, গণপ্রহারে হত্যার ঘটনাকে ‘লিঞ্চিং’ না বলার কী অর্থ, তা বোধগম্য নয়। অনেকে এ-ও মনে করিয়েছেন যে, এ দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে ‘লিঞ্চিং’-এর কথা তুলেছিলেন স্বয়ং মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীই। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ভাগবত কি তবে গাঁধীকেও ভারতীয় সংস্কৃতির অবমাননাকারী বলে চিহ্নিত করবেন?
কী বলেছিলেন গাঁধী? ১৯৪৮ সালের ২২ জানুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় (ছবিতে) প্রকাশিত হয় ২০ জানুয়ারি দিল্লিতে গাঁধীপ্রদত্ত ভাষণের খবর। তাতে দেখা যাচ্ছে, গাঁধী বলেন—‘‘মুসলমানের বিরুদ্ধে শত্রুতা ভারতের বিরুদ্ধেই শত্রুতা বলিয়া গণ্য হইবে। সকলের প্রতি আমার বিশেষ অনুনয় এই যে, শাস্তিদানের অধিকার নিজ হস্তে গ্রহণ না করিয়া আপনারা আইনের মর্যাদা রক্ষা করিয়া চলুন। অমানুষিক কার্য হইতে বিরত থাকুন— অন্যথায় সমাজ ধ্বংস হইবে।...আপনারা এবং আপনাদের সংবাদপত্রগুলি যে সকল আমেরিকান নিগ্রোদিগকে লিঞ্চ করিয়া মারিয়াছে তাহাদের বর্বরতার তীব্র নিন্দা করিয়াছেন। আপনারা যদি নিজেরা ঐ ধরণের কার্য করেন, তাহা হইলে তাহা কি কম বর্বরতার পরিচয় হইবে?’’