Mamata Banerjee: রাজ্যপাল থেকে বঞ্চনা: তোপে বিজেপি

বুধবার রাজধানীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের বিরোধী মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সাংবিধানিক ভূমিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাজ্যকে বঞ্চনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা, দেশের অধিকাংশ বিরোধী দলগুলির নেতাদের সামনে। এক কথায়, আজকের গোল টেবল থেকেই চব্বিশের লোকসভা ভোটের হাওয়া তুলে দিতে চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকের আহ্বায়ক হিসাবে মমতা শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেন বৈঠকের সভাপতি হিসাবে। কিন্তু তার আগে একটি বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৮ বছরে বিজেপি-র ‘অপশাসন’, ‘ঘৃণার রাজনীতি’ এবং ‘রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার’ অভিযোগে সরব হন। কোনও রাজ্যের নাম না করে তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের কার্যালয়কে মারাত্মকভাবে অপব্যবহার করে রাজ্য সরকারের মসৃণ কাজের গতি বারবার ব্যাহত করেছে মোদী সরকার। বিজেপি-র মুখপাত্র (সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার পয়গম্বর সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রসঙ্গ এনে মমতা আজ বলেছেন, বিজেপি
নেতারা অনবরত ঘৃণার সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার ফলে দেশকে শুধু পশ্চিম এশিয়ার সামনেই নয়, বিশ্বের সামনেই মাথা নোয়াতে হচ্ছে।

কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক বছরে সংসদে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সাংসদদের। আজকের বিরোধী বৈঠকে বিষয়টির উত্থাপন করেছেন নেত্রী। বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে এই সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাঁর অভিযোগ, বার বার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত হেনে রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কেন্দ্র যে ভাবে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনীতির স্বর স্তব্ধ করতে চাইছে, তার উল্লেখ করেছেন নেত্রী। বলেছেন, মোদী সরকারের উদ্দেশ্য, ‘বিরোধীমুক্ত ভারত’ গঠন করা।

মমতার বক্তৃতায় উঠে এসেছে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি। তিনি বলেছেন, ‘‘এই প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধায়করা অংশ নিতে পারলেন না, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলার কারণে।’’ কাশ্মীরের বিরোধী নেতাদের সামনে মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করে মমতা আজ সেখানকার পণ্ডিতদের অসহায় পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।