কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না নিয়ে কটাক্ষ করে দুর্নীতির প্রশ্নে বিরোধীদের ফের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ফেসবুকে মোদী আজ লিখেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই তৃণমূলের মতো আরও অনেককেই রাগিয়ে দিয়েছে। ওঁরা সে জন্যই কলকাতায় একজোট হয়েছিল। সবাই আমাকে একসঙ্গে গালি দিয়েছে। আসলে এই নেতারা নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে আর পরিবারকে বাঁচাতে একজোট হয়েছেন।’’ এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্তরা যত ক্ষণ শাস্তি না পাচ্ছে, তত ক্ষণ বিশ্রাম নেব না।’’ ফেসবুকে তাঁর পশ্চিমবঙ্গের সভার একটি ভিডিয়োকেও সঙ্গে রেখেছেন মোদী। যেখানে মমতা ও অন্য বিরোধীদের উদ্দেশে রয়েছে তীব্র আক্রমণ।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও আজ মমতা-সহ বিরোধী জোটের নেতাদের নিশানা করেছেন। আলিগড়ে বিজেপির বুথকর্মীদের সভায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘লোকসভা ভোটে মোদীর সঙ্গে লড়াই হবে বাকিদের।’’ অমিত বলেন, ‘‘বিজেপির কর্মীরা যখন মহাজোট নিয়ে প্রশ্ন করেন, বলি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডুরা যদি এ রাজ্যে এসে সাহায্য চান, তাতে কী আর হবে! ওঁরা নিজেদের রাজ্যেই নেতা-নেত্রী।’’ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বিজেপিকে সরকার গড়া থেকে আটকাতে পারবেন না বলেই দাবি করেন অমিত। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তৃণমূলকে ধ্বংস করবে। রাজ্যে ২৩টি লোকসভা আসনে জিতবে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে এসে মোদী অভিযোগ করেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজ্যে আসতে বাধা দিচ্ছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল, ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। বুধবার এর জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কপ্টার নামার বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার। তবে রাজ্যে দিলীপ, রাহুলদের নিয়ে কাজ হচ্ছে না বলে পরিযায়ী পাখির মতো দিল্লি থেকে বিজেপি নেতাদের আসতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy