Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata at Goa: কংগ্রেসের জন্যই এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন মোদীজি, গোয়ায় বললেন মমতা

তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘দেশের জন্য বিজেপি চিন্তিত নয়। কৃষকরা এক বছর ধরে রাস্তায় বসে আছে, কিন্তু কেন্দ্রের তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

বিজেপি-র পাশাপাশি কংগ্রেসকেও বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি-র পাশাপাশি কংগ্রেসকেও বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
পানজিম শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ১৩:২৫
Share: Save:

তৃণমূলনেত্রীর তিন দিনের গোয়া সফরের শেষ দিন শনিবার। ঘটনাচক্রে সে দিনই গোয়ায় পা রাখছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। দু’জনের কি দেখা হবে?

শনিবার সকালে রাজধানী পানজিমের অদূরে ডোনা পওলার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এই প্রশ্নই করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জবাব এল, ‘যে কেউ, যেখানে খুশি যেতে বা আসতে পারেন।’ পর্যবেক্ষকদের মত, এই জবাবেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল কংগ্রেসকে নিয়ে তৃণমূলের বর্তমান মনোভাব। একই আলাপচারিতায় মমতা সাফ জানালেন, কংগ্রেসের মতো করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা ভাবছেন না তিনি। বরং শক্তি বাড়িয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে জোটবদ্ধ করে বিজেপি-কে টক্কর দিতে চান। তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, যে কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ছাড়ে না, তাঁদের সঙ্গে কী করে জোট সম্ভব?

এখানেই শেষ নয়। মমতার অভিযোগ, বিজেপি-র সঙ্গে সমঝোতা করে চলে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস যে ভাবে কমছে, সেই হারেই টিআরপি বাড়ছে বিজেপি-র। এই প্রসঙ্গেই পিকে-র মন্তব্যেরও ব্যাখ্যা দেন মমতা। বলেন, ‘‘পিকে-র কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলে মনে হয়। ও বলতে চেয়েছে, কংগ্রেস একা একা যে ভাবে লড়ছে, সে ভাবে লড়ে বিজেপি-কে হারানো যাবে না। আমিও চাই না গোয়ায় ভোট ভাগাভাগি হোক।’’

গোয়ায় অল্পবিস্তর সংগঠন তৈরি হলেও এখনও সে রাজ্যে তৈরি হয়নি তৃণমূলের কমিটি। মমতার সপাট জবাব, ‘‘সবচেয়ে বড় কথা হল পরিবার। সেটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর পর আরও লোকজন আসবেন। কারা কারা আসছেন সেটা দেখে কমিটি গড়া হবে। সেটা বড় কোনও ব্যাপার নয়। এক বার পরিবার তৈরি হয়ে গেলে পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লোকের অভাব হয় না।’’ গোয়া নিয়ে তৃণমূলের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘গোয়া থেকেই বিজেপি-র শেষের শুরু হবে। গোয়ার মানুষের বঞ্চনার শেষ হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গোয়ায় কী নেই! শুধু রয়েছে সঠিক নেতৃত্বের অভাব। তৃণমূল ভূমিপুত্রকে দিয়েই সেই অভাব দূর করবে।’’ মমতার আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি বিজেপিও। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘দেশের জন্য বিজেপি চিন্তিত নয়। কৃষকরা প্রায় এক বছর ধরে রাস্তায় বসে আছে। কিন্তু কেন্দ্রের সরকারের তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই! পেট্রল, ডিজেলের দাম কত হয়েছে? দাম কমাতে কী করেছে মোদী সরকার?’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি যদি সত্যিই দেশের কথা ভাবত, তা হলে আজ বেকারত্বের হার আকাশ ছুঁত না।’’

আগামী লোকসভায় তাঁকে কি বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেত্রী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলেন, ‘‘আমি সাধারণ মানুষই থাকতে চাই। আমি এলআইপি, ‘লেস ইমপর্ট্যান্ট পার্সন’। ওঁরা সব ভিআইপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE