ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’-এ জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত মহম্মদ হাবিবকে আজ মুক্তি দিল আদালত। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক কাসানাপ্পা নাইক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে এই মামলায় হাবিবের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি এনআইএ।
২০০৫ সালে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’-এ জঙ্গিদের গুলিতে এক জন নিহত হন। আহত হন কয়েক জন। ২০১৭ সালে ওই মামলায় ত্রিপুরার আগরতলা থেকে মহম্মদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৮ সালে ওই মামলায় লখনউ থেকে গ্রেফতার হয়েছিল সাহাবুদ্দিন আহমেদ। তার জবানবন্দির ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় হাবিব।
হাবিবের আইনজীবী মহম্মদ তাহির সওয়ালে জানান, তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিটে হাবিবের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য দেয়নি। তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণও সংগ্রহ করেনি।
তাহির জানান, ২০০৮ সালে দেওয়া জবানবন্দিতে সাহাবুদ্দিন আহমেদ অনেক ব্যক্তি ও ঘটনার কথা জানিয়েছে। ওই জবানবন্দি অনুযায়ী, ২০০৫ সালের মে মাসে সে আগরতলা যায়। সেখানে হাবিবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সাহাবুদ্দিন জানিয়েছে, সে হাবিবের সঙ্গে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যায়। তবে নিজের প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা হাবিবকে জানায়নি। পরে হাবিবের সঙ্গেই ফিরে আসে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের হাবিবের সঙ্গে বেআইনি ভাবে বাংলাদেশে যায় সে। কিন্তু এ ছাড়াও সাহাবুদ্দিন অনেক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছে যাঁরা তাকে থাকার জায়গা পেতে ও অন্য বিষয়ে সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের কাউকে তদন্তকারীরা এই মামলায় জড়াননি। ২০১৭ সালে হাবিবকে গ্রেফতার করার পরে যে ভাবে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল তা-ও আইনসিদ্ধ নয়।
হাবিবের আর্জির বিরোধিতা করে সরকারি কৌঁসুলি জানান, আগরতলার মসজিদে পরিচয়ের পরে সাহাবুদ্দিন হাবিবকে নিজের পরিচয় দিয়েছিল। সাহাবুদ্দিনকে যে বেঙ্গালুরুতে নাশকতা চালানোর জন্য পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন প্রশিক্ষণ দিয়েছে সে কথাও জানত হাবিব। সাহাবুদ্দিন তাকে জানায়, ঢাকায় পাক জঙ্গি সংগঠনের এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে তাকে। প্রথম বার বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেই সাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগী ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’-এ হামলা চালায়। তার পরে হাবিবের সাহায্যে তারা ফের বাংলাদেশে পালায়। সরকারি কৌঁসুলি জানান, হাবিবের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় কেন হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি কেবল সাহাবুদ্দিনকে বেআইনি ভাবে বাংলাদেশে যেতে সাহায্য করে থাকতে পারেন। সেই বিষয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy