Advertisement
E-Paper

গরু চোর সন্দেহে ফের পিটিয়ে খুন, এ বার হরিয়ানায়

ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শ্রদ্ধারামের তিন ছেলে বীর সিংহ, প্রকাশ ও রামকিষাণের বিরুদ্ধে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ১৫:৪১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজস্থানের অলওয়ারের গণপিটুনি রেশ এখনও কাটেনি, গবাদি পশু চুরির অভিযোগে ফের পিটিয়ে মারা হল এক যুবককে। এ বার হরিয়ানায়।

ঘটনাটি গত ২ অগস্ট গভীর রাতের। হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বেহরোলা গ্রামের। অভিযোগ, ওই রাতে শ্রদ্ধারাম নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে দু’জন গবাদি পশু চুরি করছিল। সেই সময় বাড়ির লোকেরা টের পেয়ে যান। হাতেনাতে ধরাও পড়ে যায় তাঁদের মধ্যে এক জন। অন্য জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গবাদি পশু চুরির খবর তত ক্ষণে অন্য গ্রামবাসীদের মধ্যে চাউর হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ধরা পড়া ওই যুবকের প্রথমে হাত-পা বাঁধা হয়। তার পর চলে এলোপাথাড়ি মার। প্রচণ্ড মারধরে গুরুতর জখম হন ওই যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তত ক্ষণেমৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

আরও পড়ুন: রাতভর গুলির লড়াই, সোপিয়ানে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত পাঁচ জঙ্গি

ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শ্রদ্ধারামের তিন ছেলে বীর সিংহ, প্রকাশ ও রামকিষাণের বিরুদ্ধে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গত ২০ জুলাই রাজস্থানের অলওয়ারে আকবর খান নামে এক ব্যক্তিকে গরু চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। গণপিটুনির অভিযোগ তো ছিলই, গুরুতর জখম আকবরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছিলেন, আকবরকে যখন পুলিশ উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়, সে সময়ও আকবর কথা বলছিলেন। ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আকবরকে, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই রাজ্যেরই কোলগাঁওয়ের বাসিন্দা ছিলেন আকবর।

আরও পড়ুন: আজ প্রতিবাদ না করলে শেষের সে দিনে কাউকে পাশে পাবেন তো!

Lynching haryana হরিয়ানা গণপিটুনি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy