শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর অক্ষরজ্ঞান নেই। কিন্তু প্রযুক্তিতে বেশ হাত পাকিয়েছিলেন। আর সেই প্রযুক্তিকেই ব্যবহার করে কলেজের ছাত্রীদের কাছে নিজেকে অধ্যাপিকা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন কারখানার শ্রমিক ব্রজেশ কুশওয়া। অ্যাপের মাধ্যমে গলার স্বর বদলে মহিলা কণ্ঠে ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাঁদের বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিতেন। আর সেই ফাঁদে পা দিতেই ছাত্রীদের নিজের লালসার শিকার বানাতেন ব্রজেশ। এ ভাবেই সাত ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি কারখানায় কাজ করতেন ব্রজেশ। ফোন করে ছাত্রীদের তাঁর বাড়িতে দেখা করার জন্য বলতেন। ছাত্রীদের প্রথমে একটি ফাঁকা এলাকায় আসতে বলতেন। তাঁদের আরও বলতেন যে, ওখানে অপেক্ষা করতে। তার পর এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রীদের ‘অধ্যাপিকা’র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে জঙ্গলে নিয়ে যেতেন। সেখানেই অপেক্ষা করতেন ব্রজেশ। তার পর সেখানেই ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। আদিবাসী কলেজের সাত ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ।
এক নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্রজেশ সব সময় হেলমেট পরে থাকতেন। ফলে তাঁকে চেনা যেত না। হাতেও গ্লাভস পরা থাকত তাঁর। কারখানায় কাজ করার সময় তাঁর হাত ঝলসে গিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আইজি মহেন্দ্র সিকরওয়ার জানিয়েছেন, এক ছাত্রী তাঁদের কাছে অভিযোগ জানান, এক ব্যক্তি অধ্যাপিকার পরিচয়ে বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ছাত্রী একা নন, তাঁর মতো আরও ছ’জনকেও একই ভাবে টোপ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। তবে যে হেতু ব্রজেশ সব সময় হেলমেট পরে থাকতেন এবং হাতে গ্লাভস, তাঁর পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। কিন্তু নির্যাতিতাদের কাছ থেকে পাওয়া হেলমেট আর গ্লাভসের সূত্রই অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে পুলিশকে। শনিবার ব্রজেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy