বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করায় স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন স্বামী! মহারাষ্ট্রের লাতুরের ওই ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে মহিলাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২৫ বছর বয়সি ওই মহিলার শরীরের ৭৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই দম্পতির মধ্যে বচসা বেধে গিয়েছিল। অন্য এক মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন স্ত্রী। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ জানতে পারে, মহিলার স্বামী ওই বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন। তা নিয়েই দম্পতির মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়েছিল। অভিযোগ সেই সময়েই স্ত্রী গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। পুলিশের তদন্তকারী দল ইতিমধ্যে গুরুতর দগ্ধ ওই মহিলার বয়ান সংগ্রহ করছে। সেখানে শাশুড়ি এবং দেওরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। তাঁর গায়ে আগুন ধরানোর সময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও স্বামীকে সাহায্য করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মহিলা।
পুলিশকে তিনি জানান, স্বামী গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরে তাঁকে একটি ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে ফেলে রেখেছিলেন শাশুড়ি এবং দেওর। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে স্বামী, শ্বশুর, দেওর এবং স্বামীর ওই বান্ধবীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খরব।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি ওড়িশার পুরীর এক কিশোরী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আপাতত দিল্লি এমসে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে ওই কিশোরীকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, তিন হামলাকারী ওই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তবে পরে পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে দেওয়া আগের বয়ান তুলে নিয়েছে কিশোরী। সে ক্ষেত্রে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।