নাবালিকা মেয়েকে এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে মাথাগরম বাবার। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ওই যুবককে খুন করলেন তিনি। মারধর করলেন মেয়ের প্রেমিকের বন্ধুকেও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলার পলিয়া গোলপুর গ্রামে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। ঘনশ্যাম নামে এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে এক ২২ বছরের যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন মৃতের বাবা। সেই অনুযায়ী সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, রবিবার রাতে ঘনশ্যামের নাবালিকা মেয়ে গোপনে পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। রাত হয়ে যাওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান বাবা। মেয়েকে খুঁজতে বার হয়েছিলেন ঘনশ্যাম। কিছু দূর যাওয়ার পরে মেয়েকে এক যুবকের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ অবস্থায়’ দেখে ছুটে যান তিনি। এর পর বিনা বাক্যব্যয়ে মারধর করতে শুরু করেন মেয়ের প্রেমিককে। ওই যুবকের এক বন্ধু ছিলেন। তাঁকেও মারধর করেন ঘনশ্যাম। ধস্তাধস্তির সময় হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বার করে কুণালকে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন ঘনশ্যাম।
আরও পড়ুন:
চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় দুই যুবককে উদ্ধার করেন। আটকে রাখা হয় ঘনশ্যামকে। রক্তাক্ত দুই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাক্রমে পুলিশ ঘনশ্যামকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সোমবারই আদালতে হাজির করানো হয় প্রৌঢ়কে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, নাবালিকা মেয়েকে ওই যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। তাই খুন করে দিয়েছেন!