Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Maharashtra Crime

লুকিয়ে ফোনে যৌনছবি দেখত ছেলে, বিষ খাইয়ে মেরে ফেললেন বাবা!

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের বাসিন্দা বিজয় তাঁর ১৪ বছরের ছেলেকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ছেলেকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সামলাতে পারছিলেন না।

An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১৩
Share: Save:

বাবার ফোনে লুকিয়ে লুকিয়ে যৌনছবি দেখত ছেলে। বার বার বকাঝকা করেও তাকে শুধরানো যাচ্ছিল না। স্কুল থেকেও ছেলের নামে নানা অভিযোগ পেতেন বাবা। সেই রাগে ছেলেকে খুনই করে ফেললেন তিনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ বছরের ছেলেকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার। মৃতের নাম বিশাল। তার বাবা বিজয় বাট্টু পেশায় দর্জি। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেকে খুন করার পর দেহ লুকিয়ে ফেলেছিলেন বিজয়। তাঁর স্ত্রী-ও বুঝতে পারেননি স্বামীর কীর্তি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই তিনি ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায় গিয়ে।

দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাঁদের বাড়ির কাছের একটি নালা থেকে কয়েক দিন পর কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, সোডিয়াম নাইট্রেটের বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই খুনের মামলা রুজু করে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

মৃতের বাবার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে গিয়েছিল সহজেই। জেরার মুখে ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন বিজয়। পুলিশকে তিনি জানান, ছেলের নামে লাগাতার অভিযোগ পাচ্ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে অভিযোগ আসছিল। ছেলেকে সামলাতে পারছিলেন না। তা ছাড়া, যৌনছবিতেও ছেলে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। লুকিয়ে লুকিয়ে তা দেখত নিয়মিত।

বিরক্ত হয়ে ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন বাবা। পানীয়তে বিষ মিশিয়ে ছেলেকে খাইয়ে দেন। সংজ্ঞা হারাতেই ছেলেকে নালায় ধাক্কা মেরে ফেলেও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খুনের আরও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Maharashtra Crime News Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE