Advertisement
E-Paper

কন্যার বিয়ের পণের টাকা জোগাড় হয়নি! নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে ধৃত প্রৌঢ়

পরিবার সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছেন, বাড়িতে এ কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেরিয়ে পড়েন আনসারি। বাড়িতে বলে যান, ব্যাঙ্কে যে পাঁচ লক্ষ টাকা আছে সেটি তুলে আনতে যাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০০
নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে বিপাকে প্রৌঢ়। প্রতীকী ছবি।

নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে বিপাকে প্রৌঢ়। প্রতীকী ছবি।

কন্যার বিয়ের জন্য পণের টাকা জোগাড় করে উঠতে পারেননি। এ দিকে বিয়ের তারিখও এগিয়ে আসছে। পণের টাকা কী ভাবে কন্যার হবু শ্বশুরবাড়ির হাতে তুলে দেবেন, তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন বিহারের কৈমুরের বাসিন্দা ইসলাম আনসারি।

পরিবার সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছেন, বাড়িতে এ কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেরিয়ে পড়েন আনসারি। বাড়িতে বলে যান, ব্যাঙ্কে যে পাঁচ লক্ষ টাকা আছে সেটি তুলে আনতে যাচ্ছেন। ব্যাঙ্কের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কিছু পরেই বাড়িতে আনসারি ফোন করে জানান, তিনি টাকা তুলেছেন। কিন্তু কয়েক জন তাঁর পিছু নিয়েছেন। আনসারির মুখে এই কথা শুনে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁরা আবার আনসারিকে ফোন করে তাঁর পরিস্থিতির কথা জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল আনসারির।

বেশ কয়েক বার ফোন করার পরেও আনসারির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের লোকজন পুলিশে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। কৈমুরের পুলিশ সুপার হরিমোহন শুক্ল জানিয়েছেন, আনসারির অপহরণের অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি শুরু করে। প্রথমে তারা ব্যাঙ্কে যায়। কিন্তু পুলিশ জানতে পারে যে ব্যাঙ্কের কথা আনসারি বলেছিলেন, সেই ব্যাঙ্ক থেকে কোনও টাকা তোলা হয়নি। আনসারির মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে পুলিশ। দেখা যায়, তাঁর প্রথম অবস্থান ছিল সাসারাম। তার পর সেখান থেকে কলকাতা। তার পর আবার কলকাতা থেকে বিহারের ভাবুয়া রোড রেলস্টেশনে আনসারির অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে ভাবুয়া রোড রেলস্টেশনে নজরদারি চালাতে থাকে তারা। ট্রেন থেকে আনসারি নামতেই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরায় পুলিশের কাছে আনসারি দাবি করেছেন, কন্যার বিয়ের পণের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিজেরই অপহরণের গল্প ফেঁদেছিলেন।

Kidnapping Bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy