সাত বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণ করে খুন করার অপরাধে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিল উত্তরপ্রদেশের আদালত। অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের পর শিশুকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের সিতাপুরের আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
সিতাপুরের ইমালিয়া সুলতানপুর থানা এলাকার ঘটনা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ভাইঝিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। মামলাটি এত দিন ধরে আদালতে বিচারাধীন ছিল। সম্প্রতি বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে রায় শুনিয়েছে আদালত। ৩৮ বছর বয়সি অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট জজ ভগীরথ বর্মা। পকসো আইনের ধারা অনুযায়ী দোষ প্রমাণিত হয়েছে, জানিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন:
রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক বলেন, ‘‘নিষ্পাপ শিশুর উপর এই জঘন্য অপরাধ মানবতার লজ্জা। এই ধরনের অপরাধীর বেঁচে থাকার অধিকারই নেই। এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।’’ অভিযুক্তকে ‘সমাজের জন্য ক্ষতিকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী গোবিন্দ মিশ্র রায় ঘোষণার পরে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভাইঝিকে ধর্ষণের পর খুন করেছিলেন অভিযুক্ত। তার পর নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৬৪, ৩৭৬এবি ধারা এবং পকসো আইনে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।