বহুতলের ১৬ তলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মঘাতী ফরিদাবাদের এক রেডিথেরাপিস্ট। কী কারণে আত্মহত্যা, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই চরম পদক্ষেপ করেছেন ওই রেডিথেরাপিস্ট।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম যোগেশ কুমার। তাঁর কাকার অভিযোগ, যোগেশদের সঙ্গেই থাকতেন তাঁর মা। কিন্তু শাশুড়ির থাকা পছন্দ করতেন না যোগেশের স্ত্রী। এই নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল দু’জনের মধ্যে। শুধু তা-ই নয়, যোগেশের শ্বশুর-শাশুড়িও এই নিয়ে কথা শোনাতেন তাঁকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ভূপানি থানার পুলিশ। যোগেশের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ছাড়াও তাঁর দুই শ্যালকের বিরুদ্ধেও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যোগেশ মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের বাসিন্দা। তবে কর্মসূত্রে থাকতেন গুরুগ্রামে। সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে রেডিথেরাপিস্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বছর নয় আগে নেহা রাওয়াত নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ছ’বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের। প্রথমে তাঁরা নয়ডায় থাকতেন। নেহাও এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।
আরও পড়ুন:
মৃতের কাকার দাবি, যে হেতু স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কর্মরত, তাই তাঁদের সন্তানকে দেখভালের অভাব ছিল। যোগেশ চাইতেন, তাঁর মা এসে থাকুন তাঁদের সঙ্গে। তাতে সন্তানের খেয়াল রাখা যাবে। যদিও তাতে আপত্তি ছিল নেহার। মাস ছয়েক আগে সন্তানকে নিয়ে সেক্টর ৮৭-এর এক আবাসনে চলে যান। তবে তাঁদের সঙ্গে যান না নেহা। নয়ডার বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় যোগেশ তাঁর মাকে সেক্টর ৮৭-এর আবাসনে নিয়ে এনে রাখেন। মাস খানেক আগে সেখানে চলে আসেন নেহাও। তার পর থেকে এই নিয়ে দম্পত্তির মধ্যে অশান্তি চলতে থাকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অশান্তির কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যোগেশ। শেষে নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক যোগেশের স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের খোঁজ চলছে।