ছেলের জন্য কবর খুঁড়ছেন নিহত আতারের বাবা মুস্তাক আহমেদ ওয়ানি।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত ছেলে। নিয়মমাফিক এ বারও নিহত ‘জঙ্গি’র দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়নি প্রশাসন। তা সমাধিস্থ করা হয়েছে ‘অজানা’ কোনও স্থানে। কিন্তু ছেলের দেহের অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাবা। চোখের জল মুছে পারিবারিক সমাধিস্থলে সন্তানের জন্য খুঁড়ে রেখেছেন কবর। সেখানেই পেতে দিতে চান এক মাত্র পুত্রের শেষশয্যা।
গত বুধবার শ্রীনগর লাগোয়া লইয়াপোরা এলাকায় নিহত হয় আতার মুস্তাক, জুবের আহমেদ এবং আজাজ আহমেদ নামে ৩ তরুণ। সেনার দাবি ওই ৩ ‘জঙ্গি’ শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়েতে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছিল। তাদের থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং দু’টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি সেনার।
কিন্তু সেনার ওই দাবি মানতে নারাজ নিহতের আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, ওই ৩ তরুণ নির্দোষ। ভুয়ো সংঘর্ষে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। নিহত ৩ জনের মধ্যে আতার একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এনকাউন্টারের পর ৪ দিন কেটে গেলেও ৩ তরুণের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনমার্গের অজানা কোনও জায়গায় দেহগুলি সমাধিস্থ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবা ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলেন এক মাসের সন্তানকে!
আরও পড়ুন: গোয়ালঘর থেকে আদালত, প্রথম চেষ্টাতেই বিচারক রাজস্থানের দুধওয়ালার মেয়ে
কিন্তু ছেলের দেহ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। পুত্রের জন্য কবর খুঁড়ছেন নিহত আতারের বাবা মুস্তাক আহমেদ ওয়ানি। গর্তের মাটি সরাতে সরাতে তিনি বললেন, ‘‘আমি ছেলের দেহ ফেরতের অপেক্ষায় থাকব যাতে পারিবারিক সমাধিস্থলে ওর দেহ রেখে দেওয়া যায়।’’
ওয়ানির দাবি, ‘‘আমার ছেলে নির্দোষ। ওকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।’’ নিজের খোঁড়া কবরেই শেষবারের মতো ছেলেকে শুইয়ে দিতে চান তিনি। ছেলের দেহ ফেরতের দাবি নিয়ে দেখা করতে চান পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও। চোখের জল চেপে তিনি বললেন, ‘‘যদি দেহ ফেরত না পাই, তাহলে আত্মহত্যা করব।’’ওয়ানির সুর শোনা গেল নিহত জুবের এবং আজাজের পরিবারের সদস্যদের গলাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy